কয়েকদিন আগেই এসেছিলেন মুম্বইতে। প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার এই দেশে ফেরা ছিল পেশাগত কারণেই। করবা চৌথের দিন মুম্বইতেই ছিলেন তিনি, এখান থেকেই নিকের জন্য ব্রত রেখেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। তবে গত ২ নভেম্বরই দেশে ফিরে গিয়েছেন পিগি চপস। মার্কিন মুলুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুরনো দিনে ফিরে গিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা।
মার্শালস গুড স্টাফ সোশ্যাল ইভেন্টের জন্য মার্কিন টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব টিফানি রিডের সঙ্গে কথা বলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। প্রিয়াঙ্কা বলেন, উঠতি সময়ে তরুণদের উপর অনেক কিছুর জন্য সময় বের করার চাপ থাকে। প্রিয়াঙ্কার কথায় কেরিয়ারের শুরুর দিকে এমনও ঘটেছে যে তিনি তাঁর মায়ের জন্মদিনে মাকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানাতেও ভুলে যেতেন। কিন্তু তাঁর বাবার শারীরিক সমস্যা শুরু হওয়ার পর সময় বদলে যায়। প্রসঙ্গত, প্রিয়াঙ্কার বাবা অশোক চোপড়া ২০১৩ সালে ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
আরও পড়ুন-ওঁরা হিংসুটে! নিজেরা কুমড়োর মতো মুখ নিয়ে ঐশ্বর্যকে ট্রোল করেন! একী বললেন রিচা চাড্ডা
আরও পড়ুন-কবীর সুমনের গান ভালো লাগে, তবে তাঁর বিতর্কিত কাণ্ডকারখানা নিয়ে কী বললেন শ্রীকান্ত আচার্য
প্রিয়াঙ্কার কথায়, ‘আমার ঠিক মনেও নেই যে আমি আমার মায়ের কত জন্মদিন ভুলে গিয়েছি। আমার বয়স যখন বছর ২০, তখন কতবার মাকে ফোন করতেই ভুলে গিয়েছি। কতবার দিওয়ালি মিস করেছি, কারণ আমি হয়ত তখন ইউরোপে শ্যুট করছি। এখানে দীপাবলি নেই তাই ঠিক আছে।’
প্রিয়াঙ্কা আরও বলেন, ‘আমার বাবা মারা যাওয়া পর্যন্ত ওঁর সঙ্গে আর একটাও দীপাবলি কাটাই নি। যখন বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন, তখন সেটা আমার কাছে অনেক বড় ঘটনা ছিন। তখন আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে জীবন ছোট এবং আমরা অনেক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে চিন্তা করি। অথচ আমাদের চিন্তা করার মতো অনেক বড় জিনিস থাকে। তুচ্ছ জিনিস নিয়ে ভাবনা চিন্তা করলে সেটা আমাদের মাটিতে টেনে নামায়।’
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জানান, তিনি তাঁর বাবার ভীষণ কাছের ছিলেন। তাঁর হাতে বাবার জন্য একটা ট্যাটুও রয়েছে। যেখানে লেখা 'বাবার ছোট্ট মেয়ে'। এদিকে জানা যাচ্ছে, কিছুদিন আগে প্রিয়াঙ্কার মাও অ্যানাফিল্যাক্সিসের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। যেটি সাধারণে অ্যলার্জির কারণে হয়ে থাকে।