কুইক স্টাইল ওরফে কালা চাশমা এখন ভারত সফরে এসেছে। এঁরা হলেন একটি নরওয়েজিয়ান ড্যান্স গ্রুপ যাঁরা খ্যাতির আলোয় আসেন কালা চশমা গানটিতে ভিডিয়ো বানানোর পর। তাঁদের সেই ভিডিয়োতে এখন ১০ কোটি ভিউ ছাড়িয়ে গিয়েছে। যেহেতু তাঁরা এই গানেই পরিচিতি পেয়েছিলেন সেহেতু তাঁদের গ্রুপকে অনেকেই কুইক স্টাইলের বদলে কালা চশমা বলেই ডাকেন। কেবল কালা চশমা নয়, চুরা কে দিল মেরা, ইত্যাদি গানেও নাচ করে ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তাঁরা। বিনোদন জগতের অনেকের সঙ্গে কোলেবরেট করে তাঁরা কাজ করেছেন।
বর্তমানে এই গ্রুপ ভারত সফরে এসেছে। HT City কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই দলের তরফে বিলাল মালিক জানান, 'ইন্ডিয়া ভীষণ সুন্দর। তেমনই ভালো তাঁর মানুষেরা। আমরা এখানে এসে রোজ কিছু না কিছু শিখছি।' আরেক সদস্য নাসির সিরিখান বলেন, 'আমাদের অর্ধেকের বেশি ফলোয়ার ভারতেরই। গত ১০ বছর ধরে এই দেশের মানুষরা আমাদের সাপোর্ট করে আসছেন। আমরা এখানে বহুদিন ধরেই আসতে চাইছিলাম।'
কিন্তু চাইলে এতদিন কেন আসেননি তাঁরা? এই বিষয়ে নাসির বলেন, 'আমরা যখনই কিছু করতে চেয়েছি ঠিক তার উল্টোটাই হয়েছে। আমরা ভারতে এসেছিলাম হাত মেলাতে। এখানে এসে বিপুল ভালোবাসা পেলাম। মাত্র ৩-৪ দিনেই এই দেশটাকে নিজের বাড়ির মতো মনে হচ্ছে।'
ভারতে এসে তাঁরা বহু তারকার সঙ্গে কাজ করেছেন। প্রথমেই তাঁদের বিরাট কোহলির সঙ্গে ভিডিয়ো বানাতে দেখা যায়। এই দলের তরফে বলা হয়, 'আমরা এখানে এসে দারুন দারুণ সব মানুষদের সঙ্গে দেখা করছি। অনেকের সঙ্গে কাজ করছি। তাঁদের সঙ্গে আলাপ হলে একটা আন্তরিক যোগাযোগ তৈরি হচ্ছে।'
কিন্তু মুম্বইতে এসে তাঁরা কি এখানকার বিখ্যাত বড়াপাও খেয়েছেন? এর উত্তরে বিলাল বলেন, 'হ্যাঁ অবশ্যই। তাও বেশি করে চাটনি দিয়ে।' এছাড়া তিনি মুম্বইয়ের ব্যাপারে বলেন, 'আমরা লোকাল ট্রেনে চড়েছি। সেখানে ভিডিয়ো করেছি। সেটা একটা দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা ছিল। আমরা যখন যাত্রীদের সিট বদলাতে বলি তাঁরা সকলেই আমাদের কথা শুনে নেন। সবাই খুব সাপোর্ট করেছে। আমরা এখানে এসে ৭০ জন কনটেন্ট ক্রিয়েটরের সঙ্গে দেখা করেছি। যাঁরা আমাদের ফলো করে তাঁদের সঙ্গে মিশেছি।'
জানা গিয়েছে কেবল মুম্বই নয়, দিল্লি, চেন্নাই, কেরল সহ ভারতের সব জায়গাতেই যাবে এই দল। বিশ্বজুড়ে এই খ্যাতি এই দলের। কতটা বদল আনল এই খ্যাতি তাঁদের জীবনে? এই প্রসঙ্গে সিরিখান বলেন, 'কোনও বদল আনেনি। তুমি যতই বড়, বিখ্যাত হও না কেন, নরওয়ে কেউ পাত্তা দেয় না। কিন্তু ছোট চেঞ্জ অবশ্যই এসেছে।'