Rachana Banerjee: যাচ্ছিলেন জয়পুর, বিমানের সিটে বসতে গিয়ে চমকে গেলেন রচনা, পেলেন ভালোবাসার চিঠি, কে পাঠিয়েছে?

রচনা জয়পুরে যাচ্ছিলেন। বিমানকর্মীরা রচনাকে যাত্রী হিসাবে পেয়ে আহ্লাদে আটখানা। আর রচনাও তাঁদের আতিথেয়তায় ভীষণ খুশি। বিমানে উঠে সিটে বসতে গিয়েই চমকে যান অভিনেত্রী, সঞ্চালিকা। সিটের উপর রাখা চিপস, চকোলেট, বিস্কুট। সঙ্গে একটা ভালোবাসা মাখা চিঠি। কী লেখা ছিল সেই চিঠিতে?

রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়

‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর দৌলতে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। কে না চেনেন তাঁকে। নিত্যদিনই বহু মানুষ প্রতিযোগী হয়ে আসেন 'দিদি' রচনার দরবারে। তাঁর সঙ্গে ভাগ করে নেন নানান কথা। এদিকে জনপ্রিয় শো সঞ্চালনার পাশাপাশি শাড়ির ব্যবসাও রয়েছে নায়িকার, আবার কিছুদিন আগেই খুলেছেন প্রসাধনী সংস্থা। এই ব্যস্ততার ফাঁকেও ছেলে প্রণীলকে একা হাতে বড় করছেন রচনা। সুযোগ পেলে মাঝেমধ্যে ছেলেকে নিয়ে বেড়াতেও চলে যান অভিনেত্রী।

সম্প্রতি রচনা জয়পুরে যাচ্ছিলেন। তবে বিমানে ওঠার পর এমন চমক তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল, সেটা তিনি হয়ত আশাও করেননি। বিমানকর্মীরা রচনাকে যাত্রী হিসাবে পেয়ে আহ্লাদে আটখানা। আর রচনাও তাঁদের আতিথেয়তায় ভীষণ খুশি। বিমানে উঠে সিটে বসতে গিয়েই চমকে যান অভিনেত্রী, সঞ্চালিকা। সিটের উপর রাখা চিপস, চকোলেট, বিস্কুট। সঙ্গে একটা ভালোবাসা মাখা চিঠি। কী লেখা ছিল সেই চিঠিতে?

রচনার উদ্দেশ্যে রাখা সেই চিঠিতে লেখা, ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দিত মিস বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিমান সফর করছেন। অল্প সময়ের জন্য হলেও আমরা খুশি, এমন একজন ভালো মানুষের জন্য কিছু করতে পেরে। আপনার জন্য অনেক ভালোবাসা, সম্মান, আপনি ভালো থাকবেন’। চিঠির শেষে লেখা দুই বিমান সেবিকার নাম রোশনি ও রিজা। এমন অভ্যর্থনা পেয়ে আপ্লুত রচনা। তিনিও ওই দুই বিমানসেবিকার সঙ্গে বিমানে উঠে ছবি তুলেছেন।

বিমানসেবিকাদের তরফে পাওয়া চিঠি, উপহার, সবকিছু সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। নিজের পোস্ট দুই বিমানসেবিকা রোশনি ও রিজাকে ট্যাগও করেছেন রচনা। লিখেছেন, ‘গোটা ঘটনায় আমার হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছে, ধন্যবাদ ইন্ডিগো।’ সঙ্গে লিখেছেন কলকাতা থেকে জয়পুর যাওয়ার পথে তাঁর সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে।

রচনা অবশ্য সুযোগ পেলেই বেড়াতে চলে যান। কখনও তা তাঁর কাছের কিছু বন্ধুদের সঙ্গে, কখনও আবার ছেলের সঙ্গে। কয়েকদিন আগেই ১ দিনের ছুটিতে বন্ধুদের সঙ্গে মায়াপুর ঘুরে এসেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।