দিদি নম্বর ওয়ান বোধহয় বর্তমানে এক নাগাড়ে চলে আসা সব থেকে পুরনো রিয়েলিটি শো। ২০১০ সালে শুরু হয়েছিল এটির পথ চলা। মাঝে কয়েকবার সঞ্চালক বদল হলেও রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গায় দর্শকরা আর কাউকে মেনে নিতে পারেননি। বর্তমানে দিদি নম্বর ওয়ান এবং রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন সমার্থক হয়ে গিয়েছেন। তবে তাঁর সমসাময়িক একাধিক অভিনেতা, অভিনেত্রীরা এখন চুটিয়ে সিনেমা, সিরিজে কাজ করছেন। সেখানে একমাত্র যেন তিনিই ব্যতিক্রম। কিন্তু কেন তাঁকে অন্য কোনও প্রজেক্টে দেখা যায় না সেটার উত্তর এবার দিদি নিজেই দিলেন।
কাজ প্রসঙ্গে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়
দিদি নম্বর ওয়ানে এদিন কল্যাণী মণ্ডল, তনুকা চট্টোপাধ্যায়, মানসী সিনহা সহ একাধিক বর্ষীয়ান অভিনেত্রীরা খেলতে এসেছিলেন। সেখানেই তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে রচনা জানান তিনি কেন সিরিজে কাজ করেন না সময়ের দাবি মেনে। সঞ্চালিকার কথায়, 'যতদিন শরীর আছে ততদিন কাজ আছে। কিন্তু আমায় একটা লাইন টানতে হবে কোনও একটা জায়গায়। চাওয়া পাওয়ার কোনও শেষ নেই। আজ আমি চাইলেই দিদি নম্বর ওয়ানের পর দশটা ওয়েব সিরিজ করতেই পারি, কিন্তু আমি জানি সেই লাইনটা কোথায় টানতে হবে। আমার কাছে জীবনে কিছু জিনিসের প্রাধান্য ভীষণ বেশি। আজ পাঁচজন আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি। এক বছর পর আমরা সবাই একসঙ্গে থাকব কিনা জানি না। তাই জীবন যতটুকু আছে ততটুকুকে যদি সুন্দর করে গুছিয়ে নিতে পারি তাহলে সবটা উপভোগ, উপলব্ধি করা যায়। টাকা পিছনের ছুটলে সেটা একটা সময় ছেড়ে চলে যাব। তাই যতটা দেখার দেখে গেলে, করে গেলে সেটা সঙ্গে নিয়ে যাব। জীবন তো একটাই, তাই কাজের পাশাপাশি যা করার, দেখার সেটা করে, দেখে যেতে হবে।'
আরও পড়ুন: 'ও তোমাদের ভাইজানের ভাই...' শাহরুখকে নিয়ে ট্রোল নয়, ভক্তদের সাফ বার্তা সলমনের
আরও পড়ুন: দাদাগিরিতে ফের বেফাঁস সৌরভ, বললেন ডোনা তাঁকে 'একেবারেই পাত্তা দেয় না!'
রচনার কথায় মুগ্ধ হয়ে যান বাকিরা। তনুকা বলেন, 'তাই বুঝতে পারছি তুই আমার সবার কেন এতটা অনুপ্রেরণা।'
কে কী বলছেন?
অনেকেই এই পোস্টে মন্তব্য করেছেন। এক ব্যক্তি লেখেন, 'ভীষণ জরুরি কথা। শুনে সত্যি মনটা ভরে গেল।' আরেকজন লেখেন, 'একদম ঠিক বলেছেন। এটাই শেখার, বোঝার।' তবে কেউ আবার কটাক্ষ করেছেন। তাঁদের মতে, 'তাহলে শাড়ির ব্যবসা করেন কেন?'