পর্নকাণ্ডে গ্রেফতার রাজ কুন্দ্রার অস্বস্তি কমছে না। মঙ্গলবার বম্বে হাইকোর্টে তাঁর জামিনের আর্জির শুনানি সম্পূর্ণ হল না, অভিযুক্তকে অন্তর্বতীকালীন অব্যাহতি দিতেও রাজি হয়নি কোর্ট। তাই আপতত আর্থার রোড জেলেই ঠাঁই এই কোটিপতি ব্যবসায়ীর। ২৯শে জুলাই, অর্থাত্ বৃহস্পতিবার ফের রাজ কুন্দ্রার জামিনের আর্জির শুনানি চলবে বম্বে হাইকোর্টে।
এদিন সকালে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পেশ করা হলে অভিযুক্তর ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজত মঞ্জুর করেন বিচারক। দুপুর ২.৩০টে নাগাদ বম্বে হাইকোর্টে রাজ কুন্দ্রার জামিনের আর্জির শুনানি সময় ধার্য ছিল, কিন্তু সকালে অভিযুক্তর পুলিশ কাস্টডি বিচারবিভাগীয় হেফাজতে বদলে যাওয়ায় সময়মতো শুনানি শুরু করা যায়নি। এদিন বম্বে হাইকোর্টে বিচারপতি এ এস গডকরির এজলাসে এই মামলার শুনানি শুরু হয়, রাজ কুন্দ্রার প্রতিনিধিত্ব করেন সিনিয়র আইনজীবী আবাদ পন্ডা। রাজ কুন্দ্রার আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে আনা একমাত্র দুটি ধারাই জামিন অযোগ্য, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ নম্বর ধারা (জালিয়াতি) এবং আইটি অ্যাক্টের ৬৭(এ) ধারাটি। দোষ প্রমাণিত হলে এই ধারায় ৭ বছর এবং ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা মিলবে।
আইনজীবী আরও জানান, তাঁর মক্কেলকে বয়ান রেকর্ডের আছিলায় ডেকে বিনা কোনও নোটিশে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে সিআরপিসি ৪১(এ)-এর আওতায় নির্দিষ্ট কোনও নোটিশ জারি করা হয়নি। যদিও সরকারি পক্ষের আইনজীবী আদালতকে সাফ জানান, রাজ কুন্দ্রাকে মুম্বই পুলিশের তরফে ৪১(এ) নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, আমাদের কাছে সমস্ত নথিপত্র রয়েছে এবং তদন্তের কাগজপত্রও রয়েছে। তখন ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে কুন্দ্রার আইনজীবী বলেন, 'হ্যাঁ, শুধুমাত্র দেওয়া হয়েছিল ফরম্যালিটি হিসাবে, আগেভাগে নয়'।
এরপরই আদালত গোটা বিষয় নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে লিখিত জবাব জানতে চায় আগামিকালের মধ্যে, পাশাপাশি বলা হয় পরবর্তী শুনানিতে আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে তদন্তকারী অফিসারকেও।
গত ১৯শে জুলাই রাতে মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার হাতে গ্রেফতার হন রাজ কুন্দ্রা। তাঁর বিরুদ্ধে পর্ন ভিডিয়ো তৈরি এবং অ্যাপের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এদিন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পেশ করবার পর রাজ কুন্দ্রার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়, এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আর্থার রোড জেলে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুম্বইয়ের এই সংশোধনাগারের থাকবেন শিল্পা শেট্টির স্বামী।