ফের সঙ্গীতজগতে শোকের ছায়া। নতুন বছরের শুরুতেই চলে গেলেন আরডি বর্মনের সহশিল্পী ফ্রাঙ্কো ভাজ (Franco Vaz)। শুধু সঙ্গীতশিল্পী হিসাবেই নয়, অভিনয়ের দুনিয়ারও চেনা মুখ আরডি বর্মনের ড্রামার। দীর্ঘদিন ধরেই একাধিক রোগে ভুগছিলেন, অবশেষে ৬৯ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন ফ্রাঙ্কো ভাজ। আরও পড়ুন-প্রয়াত অভিনেতা রুবেল! নতুন ছবির প্রিমিয়ারে ঢোকার আগেই হৃদরোগ কাড়ল প্রাণ
রক্তারক্তি কাণ্ড! কুকুরের কামড়ে হাসপাতালে ছোট্ট আদিদেব, নতুন সংকট সুদীপার জীবনে
ফ্রাঙ্কো ভাজের মৃত্যুর খবর, টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে নিশ্চিত করেছেন লেখক চৈতন্য পাড়ুকোন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন ফ্রাঙ্কো। শ্রোতা-দর্শক তাঁকে সবচেয়ে বেশি মনে রেখেছে রাহুল দেব বর্মণের সহশিল্পী হিসাবেই। ১৯৭৮ সালে ‘কসমে ওয়াদে’ ছবিতে একসঙ্গে কাজের সুযোগ এসেছিল। তারপর আর পিছনে তাকাননি। আরডি প্রিয় পাত্র হয়ে ওঠেন অল্পদিনেই।
আরডি বর্মনের অসংখ্য হিট গানের পিছনে রয়েছেন ফ্রাঙ্কো। এই ড্রামবাদকের গুণমুগ্ধের সংখ্য়া কম ছিল না। শুধু আরডি বর্মন নয়, বাপ্পি লাহিড়ি, ইলাইয়ারাজা, উত্তম সিং-এর মতো সঙ্গীত পরিচালকদের সঙ্গেও কাজ করেছেন ফ্রাঙ্কো। শাহরুখের দিল তো পাগল হ্যায় ছবির আইকনিক সোলো রিদমে ড্রাম বাজিয়েছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে সঙ্গীতজগতে তৈরি হল শূন্যতা।
বলিউডের একাধিক আইকনিক গানের মধ্যে দিয়ে ভক্তমনে অমর ফ্রাঙ্কো। রক অ্যান্ড রোল, পাপা কহতে হ্যায়, ওহ মারিয়া, আ দেখে জরা-র মতো সুপার ডুপার হিট গানে ড্রাম বাজিয়েছিলেন ফ্রাঙ্কো ভাজ। ক্যামেরার পিছনেই শুধু নয়, ক্যামেরার সামনেও অমলিন ফ্রাঙ্কো ভাজ। শ্রীরাম রাঘবনের ওপেন এন্ড থ্রিলার অন্ধাধুনে অভিনয়ও করেছিলেন। ছবিতে ক্লাবের মালিক তথা রাধিকা আপ্তের বাবার ভূমিকায় দর্শক দেখেছিল তাঁকে।
ঠিক কীভাবে মৃত্যু হয়েছে এই জনপ্রিয় শিল্পী, ফ্রাঙ্কো ভাজের তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে তাঁর সঙ্গীত প্রজন্মের পর প্রজন্মকে সমৃদ্ধ করবে। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ভক্তরা। চলতি বছরের শুরুতেই উস্তাদ রাশিদ খানকে হারিয়েছে ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীতের জগত। ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর হার মানেন ‘আওগে জব তুম ও সাজনা’ খ্যাত গায়ক। সেই ক্ষত এখনও দগদগে সঙ্গীতপ্রেমীদের মনে, এবা চলে গেলেন ফ্রাঙ্কো ভাজ। তাঁর মৃত্যু অপূরণীয় ক্ষতি। শোকস্তব্ধ ভাজের অগুণতি ভক্তরা।