সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর সঙ্গে যুক্ত মাদককাণ্ডে মঙ্গলবার রিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করল এনসিসি। আজ রিয়ার বিরুদ্ধে মাদক সেবন নয়, মাদক সংগ্রহ এবং সেই সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় সুশান্ত মামলার মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।
এনডিপিএস আইনের আওতায় ৮ (সি), ২০ (বি), ২৭ (এ), ২৮, এবং ২৯ নম্বর ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে রিয়া চক্রবর্তীকে। ২৭ (এ) ধারা অর্থাত্ অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে রিয়ার বিরুদ্ধে, যা প্রমাণ হলে কমপক্ষে ১০ বছরের সাজা হবে রিয়ার। রিয়ার গ্রেফতারির খবর প্রকাশ্যে আসবার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় রিয়া চক্রবর্তীর পুরোনো একটি টুইট। ১১ বছর আগের সেই টুইটে মাদককাণ্ডে গ্রেফতার এক ভারতী মহিলার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেছিলেন রিয়া।
রিয়া চক্রবর্তীর এই নারকোটিক টুইট এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর পোস্ট করা সেই টুইটে রিয়া লিখেছিলেন, ‘এই মাত্র একটা অদ্ভূত ভয়ঙ্কর এবং কৌতুহলে ভরপুর কাহিনি থেকে বার হলাম.. যে সাড়ে চার বছর জেল খেটেছে নারকোট্রিক (মাদক) ট্রাফিকিং (পাচার)-এর দায়ে’।
আজ তৃতীয় দিনের জন্য এনসিবির জেরার মুখোমুখি হয়েছিলেন রিয়া চক্রবর্তী। নিজের বয়ানে মাদক সেবনের অভিযোগ স্বীকার করেননি রিয়া। তাঁর দাবি সুশান্তের জন্যই মাদক সংগ্রহ করতেন তিনি,ভাই শৌভিকের সঙ্গে মিলে। সুশান্তের জন্য, রিয়ার নির্দেশে মাদক সংগ্রহ করবার কথা স্বীকার করে নিয়েছে স্যামুয়েল মিরান্ডা, কেশবও।
রিয়ার নারকোটিক টুইট মঙ্গলবার টুইটারে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। এই টুইট ঘিরে ব্যাপক ট্রোলের মুখে রিয়া। কেউ বলছেন ‘কনফিডেন্স হ্যায় লড়কি মেঁ’। কারুর মতে আবার ‘রিয়া আসলে ভবিষ্যত দেখতে পান, নিজের কাহিনি নিয়েই টুইটটি করেছেন’।
এনডিপিএস আইনের আওতায় ৮ (সি), ২০ (বি), ২৭ (এ), ২৮, এবং ২৯ নম্বর ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে রিয়া চক্রবর্তীকে। রিয়ার বিরুদ্ধে এনসিবির তরফে যে ধারাগুলি এনডিপিএন আইনের আওতায় আনা হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখ্য ২৭ (এ) ধারা অর্থাত্ অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, যা প্রমাণ হলে কমপক্ষে ১০ বছরের সাজা হবে রিয়ার।
এদিন এনসিবির তরফে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দক্ষিন-পশ্চিম অঞ্চলের ডেপুটি জেনারেল এমএ জৈন। তিনি বলেন ‘রিয়া যা বলেছেন সেটা ওঁকে গ্রেফতার করবার জন্য যথেষ্ট। আমরা যখন ওকে গ্রেফতার করেছি তখন আমাদের কাছে তথ্য-প্রমাণ রয়েছে’। রিয়ার কাছ থেকে কোনওরকম নিষিদ্ধ মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়নি সেটিও পরিষ্কার করে দেন এমএ জৈন। কী ধরণের প্রমাণ মিলেছে রিয়ার কাছ থেকে, তা নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেনি এনসিবি। তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে, তাই এই নিয়ে কোনও মন্তব্য নয় জানান এমএ জৈন।