বলিউডের তথা হিন্দি টেলিভিশনের অতি জনপ্রিয় মুখ রণিত রায়। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে অনুরাগ কশ্যপ থেকে করণ জোহর এর মতো বিখ্যাত পরিচালকদের ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা। প্রায় তিন দশকের কেরিয়ারে বহু উত্থান পতন দেখেছেন রণিত। ১৯৯২ সালে 'জান তেরে নাম' ছবির মাধ্যমে বলিপাড়ায় ডেবিউ করেছিলেন রণিত। সে ছবি সুপারহিটও হয়েছিল। তবে এরপর তেমন করে আর বড়পর্দায় সাফল্যের মুখ তিনি দেখতে পাননি। একের পর এক ব্যর্থতার জেরে মদের নেশায় ডুবে গিয়েছিলেন অভিনেতা। আরও পড়ুন-‘আপনাকে নিয়ে আমার সমস্যা হচ্ছে, রণিতকে মুখের উপর জানান হৃতিক! কারণ শুনলে চমকাবেন
সাফল্যের মুখ দেখেও ক্যাজুয়াল মনোভাবই ছিল রণিত রায়ের পতনের কারণ। এরপর টেলিভিশনের মাধ্যমে কামব্যাক করেন রণিত। একতা কাপুর প্রযোজিত 'কসৌটি জিন্দেগি কী' ধারাবাহিকে 'মিঃ বাজাজ'-এর চরিত্রে অভিনয় করে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। তারপরেই আরও একবার বড়পর্দায় সফলভাবে কামব্যাক করেন তিনি।
সম্প্রতি লেহরেঁ রেট্রো-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা অতীতের মদ্যপানের সমস্যা নিয়ে মুখ খুলেছেন রণিত। অভিনেতা বলেন, সারারাত ধরে মদ্যপানের করে সকালে শ্যুটে পৌঁছাতেন। অভিনেতা বলেন, ‘সাফল্য কী সেটা আমি বুঝিনি। আমি হিরো হয়ে গিয়েছিলাম, ভাবিনি সেই স্টারডম খতম হয়ে যাবে। যখন তুমি মদ খাও অনেক ভুল কাজ করো। আমি শ্যুটে কখনও দেরিতে পৌঁছাইনি। কিন্তু সময়ে পৌঁছানো সত্ত্বেও কাজ এগোত না। কারণ শ্যুটের আগে আমি চার ঘন্টা করে মদ্যপান করতাম। না ঘুমানোর জন্য আমার চোখ লাল হয়ে থাকত। হিরোদের তেমন দেখালে চলে না। তোমার উপর কিছু দায়িত্ব থাকে।’
তবে ভয়ের জেরে মদ্যপান ছাড়েন রণিত। অভিনেতার কথায়, তাঁর ভিতর একটা ফোবিয়া কাজ করেছিল। তাঁর মেয়ে বিদেশে পড়াশোনা করত, সে যদি চেষ্টা করার পরেও দরকারে বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারে। কিংবা কোনও আত্মীয় বা পরিচিতর দরকারে রণিত সাড়া না দেন, মদ্যপ থাকার জেরে। সেই পরিস্থিতির মুখে পড়তে চাননি পর্দার মিস্টার বজাজ। আজকাল রণিত মদ ছুঁয়েও দেখেন না এমনটা নয়। তবে নেশা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।
বিক্রম আদিত্য মোটওয়ানির ‘উড়ান’ ছবির সঙ্গে বড়পর্দায় নতুন ইনিংস শুরু করেন অভিনেতা। সম্প্রতি সলমনের বোনঝি আলিজে-র ডেবিউ ছবি Farrey-তে দেখা গিয়েছে রণিতকে। প্রসঙ্গত, রণিতের ভাই রোহিত রায়ও হিন্দি বিনোদন জগতের পরিচিত মুখ।