মিমিকে সরিয়ে এবার যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন সায়নী ঘোষ। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই জোরদার ভাবে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন অভিনেত্রী। এতটুকু ফাঁক রাখতে চান না জনসংযোগে। এদিন তিনি প্রচার করতেই সোনারপুর গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়েই পড়লেন বিপাকে।
সোনারপুরে প্রচারে গিয়ে বিপাকে সায়নী ঘোষ
এদিন সায়নী ঘোষ হুডখোলা জিপে করে প্রচার সারছিলেন। তাঁর পরনে ছিল সাদা চুড়িদার। মাথা সাদা চাদর দিয়ে ঢাকা ছিল। এদিন তিনি প্রচার করতে করতে সোনারপুর যেতেই সেখানকার স্থানীয়দের রোষের মুখে পড়লেন অভিনেত্রী।
এদিন সোনারপুরের এলাকাবাসী সায়নী ঘোষকে দেখেই একপ্রকার ক্ষেপে যান। টিভি ৯ বাংলার একটি রিপোর্টে জানানো হয় সোনারপুরের বাসিন্দারা সকলে সায়নীর উদ্দেশ্যে বলতে শুরু করেন, 'জল নেই, রাস্তা নেই। ভোট দেব না আমরা।' এদিন তাঁর প্রচারের সময় যাঁরা রাস্তার দুপাশে ভিড় জমিয়েছিলেন তাঁরাই এসব কথা শোনান ভোট প্রার্থীকে।
গতবার এই লোকসভা কেন্দ্র থেকে মিমি চক্রবর্তী দাঁড়িয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি জিতেওছিলেন বিপুল ভোটে। কিন্তু জেতার পর কাজের কাজ যে তেমন কিছুই করতে পারেননি অভিনেত্রী বা তাঁর দল সেটা এদিন সায়নী ঘোষকে বুঝিয়ে দেন সোনারপুরের বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: 'আবার ওখানকার পোস্ট অফিসে ঢুকে পড়বেন না...' কাশ্মীর ট্রিপের ছবি পোস্ট করে ট্রোল্ড রূপঙ্কর
আরও পড়ুন: 'চাই ও ভালো থাক...', বিয়ের পর বরের প্রথম জন্মদিন, অনুপমকে কোন বিশেষ উপহার দিলেন প্রশ্মিতা?
তবে রোষের মুখে পড়েও দমবার পাত্রী নন সায়নী ঘোষ। এদিন যখন স্থানীয়রা তাঁকে বলেন 'জল নেই, রাস্তা খারাপ। আমরা ভোট দেব না।' তখন উত্তরে সায়নী বলেন, 'ভোট না দিলে রাস্তা তৈরি হয়ে যাবে?' উত্তরে তাঁরা বলেন, 'কাউকেই ভোট দেব না আমরা। দরকার নেই ভোটের। ভোট দিলেও কিছু ঠিক হবে না, না দিলেও কিছু হবে না।' উত্তরে সায়নী ফের বলেন, 'টাকা ছাড়া কোনও কাজ হবে না। কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না সেটার বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই। কিন্তু তার জন্য আগে সাংসদে যেতে হবে।'
প্রসঙ্গত সায়নী ঘোষ এবার যাদবপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে লড়ছেন। তাঁর বিপক্ষে আছেন সিপিআইএমের সৃজন ভট্টাচার্য এবং বিজেপির অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়।