১৯৩৭ সালে বাংলাদেশের কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পরে চলে আসেন এপার বাংলায়। অতি অল্প বয়সে সংসারের হাল ধরার জন্য পা রাখেন বিনোদন জগতে। বাকিটা ইতিহাস। টলিউডের অন্যতম দাপুটে, স্বনামধন্য অভিনেত্রী তিনি। আর সেই অভিনেত্রী, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় আজ ৮৭ বছরে পা দিলেন। ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসেই তাঁর জন্মদিন। আর তাঁর এই বিশেষ দিনে তাঁকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন একাধিক অভিনেতারা।
আরও পড়ুন: বামপন্থীদের অপমানে ভারত ছেড়ে বাংলাদেশে যেতে চান কবীর সুমন! লিখলেন, 'ওঁরা আমায় গানওয়ালা বলে...'
সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা
এদিন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়কে একটি ছবি পোস্ট করে শুভেচ্ছা জানান জন্মদিনের। তাঁর পোস্ট করা ছবিতে তাঁকে বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর হাত ধরে থাকতে দেখা যাচ্ছে। সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের পরনে লাল রঙের শাড়ি। অন্যদিকে ঘিয়ে রঙের পাঞ্জাবি পরে আছেন বুম্বাদা। এই ছবিটি পোস্ট করে তিনি লেখেন, 'শুভ জন্মদিন সাবিত্রী আন্টি। প্রণাম নিও। অসংখ্য ভালোবাসা রইল।'
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে ৩৫৬ কোটি আয়, ২০২৪-এর সর্বোচ্চ ব্যবসা করা ছবির তকমা হৃতিক - দীপিকার 'ফাইটার'-এর
অন্যদিকে একটি ধারাবাহিকের সেটের ছবি পোস্ট করে আদরের সাবুদিকে শুভেচ্ছা জানান অভিনেতা সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন তাঁর পোস্টে লেখেন, 'আজ অভিনয়ের জন্মদিন, ভালো থেকো সাবুদি। সুস্থ থেকো, আমাদের এথনও অনেক কিছু শেখার এবং পাওয়ার আছে তোমার থেকে, প্রণাম।' ছবিতে অভিনেত্রীকে তাঁকে চুমু খেতে দেখা যাচ্ছে।
সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গে
সহযাত্রী ছবির মাধ্যমে টলিউডে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। তারপর সত্তর দশকের বেশি সময় ধরে তিনি এই বিনোদন জগতের সঙ্গে যুক্ত। তাঁকে শেষবার প্রধান ছবিতে দেখা গিয়েছিল। সেখানে তিনি দেবের ঠাকুমার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় কখনই বিয়ে করেননি। তাঁর যতবার কাউকে ভালো লেগেছে জানা গিয়েছে তিনি বিবাহিত। সেই বিষয়ে তিনি একাধিকবার আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। তবে একাই থাকেন তিনি বর্তমানে। তাঁর সঙ্গে থাকেন তাঁর নাতনি তথা অভিনেত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: অল্প বয়সী শ্রীময়ীর সঙ্গে বিয়ে, কাঞ্চনকে 'শারীরিক ভাবে ফিট' থাকার পরামর্শ অবিবাহিত রুদ্রনীলের!
প্রসঙ্গত সদ্যই কাঞ্চন মল্লিক এবং পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিচ্ছেদ হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'আমার নাতনিটার মন মেজাজ এক্কেবারেই ভালো নেই। আমার বাড়িতেই থাকে পিঙ্কি। ঠিকই হয়েছে পিঙ্কি-কাঞ্চনের ছাড়াছাড়ি হয়েছে। বাচ্চাটা ভাল আছে। বাবা-মায়ের ডিভোর্স বোঝার মতো বয়স হয়নি ওশের। তবে পিঙ্কি ডিভোর্সের পর কাঞ্চনের থেকে টাকা পেয়েছে। এখন আমিই ওদের গার্জিয়ান।'