গত ২২ জানুয়ারি কনুইয়ের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সইফ আলি খান। এরপরই তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ত্রোপচার করাবেন। অস্ত্রোপচারের এক দিনের মাথায় বাড়ি ফেরেন। হাতে বেল্ট বেঁধে চলাফেরা করছেন তিনি। এখনও চিকিৎসা চলছে অভিনেতার। এখন কেমন আছেন তিনি?
সম্প্রতি ছেলে তৈমুরকে সঙ্গে নিয়ে ঘোড়দৌড়ে মুম্বই ডার্বি ২০২৪ দেখতে হাজির হয়েছিলেন অভিনেতা। অস্ত্রোপচারের জন্য হাতে বেল্ট বাঁধা। ডার্বি নিয়ে বেজায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তিনি। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ফুরফুরে মেজাজে তিনি। শরীরও ভালো আছে। আরও পড়ুন: ‘অমিতাভের অস্কার নমিনেশন পাওয়া উচিত ছিল’ কোন ছবি দেখে বলেছিলেন দিলীপ-সায়রা
আসলে, এক অ্যাকশন দৃশ্যের শ্যুটিং করতে গিয়েই হাঁটুতে ও কনুইয়ের পুরনো আঘাত বেড়ে যায় অভিনেতার। অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হতেই ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। কোকিলাবেন হাসপাতালে ভর্তি করার পর অস্ত্রোপচার হয় পতৌদিদের 'ছোটে নবাব'-এর। অস্ত্রোপচারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ছাড়া পেয়ে যান সইফ।
অস্ত্রোপচার নিয়ে সইফ বলেছিলেন, ‘এই আঘাত এবং অস্ত্রোপচার এই বিষয়গুলি আমাদের কাজেরই অংশ। এটা আমাদের কাছে খানিকটা পোশাক পরা ও পোশাক ছিঁড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা। আমি এমন সুন্দর অস্ত্রোপচার হওয়ায় খুব খুশি। আমার সকল শুভাকাঙ্খী যাঁরা আমাদের ভালোবাসেন এবং এই ঘটনায় উদ্বেগে ছিলেন তাঁদের ধন্যবাদ’। কিন্তু কী ভাবে এই চোট লাগল অভিনেতার, সেই বিষয়ে সবিস্তারে কিছু বলেননি। বিষয়টা যে গুরুতর নয়, তা সইফের বয়ানেই স্পষ্ট ছিল।
এই প্রথম চোট পেয়ে সইফ হাসপাতালে ভর্তি এমনটা নয়। এর আগে ২০১৬ সালে রেঙ্গুন ছবির সেটে আহত হন অভিনেতা। জানা গিয়েছিল আঙুলে চোট লেগেছে, সেইসময়ও অস্ত্রোপচার করা হয়। ‘ক্যায়া কহেনা’ ছবির এক অ্যাকশন দৃশ্যের শ্যুটিংয়ের সময় কাঁধে ও হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন সইফ।
এই মুহূর্তে ‘দেবারা’ ছবির শ্যুটিং করছেন অভিনেতা। সেখানে ভরপুর অ্যাকশন করতে দেখা যাবে তাঁকে। ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, বেশ কয়েক মাস ধরেই সইফের এই অস্ত্রোপচার করানোর কথাবার্তা চলছিল। কিন্তু ব্যস্ত শ্যুটিং শিডিউলের জেরে অস্ত্রোপচার পিছিয়ে দেন সইফ। অভিনেতার চোট মারাত্মক সিরিয়াস নয়। অবশেষে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিয়েই নেন।
৫৩ বছর বয়সী সইফকে শেষবার পর্দায় দেখা গিয়েছে ‘আদিপুরুষ’ ছবিতে। ২০২৩-এ মুক্তি পাওয়া ওম রাউতের এই ছবিতে ‘রাবণ’-এর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সইফ।