বলিউডের জনপ্রিয় দম্পতি সইফ আলি খান এবং করিনা কাপুর খান। দম্পতির দুই সন্তান তৈমুর এবং জেহ। ২০১৬ সালে জন্ম তৈমুরের। বয়স এখন ৭ বছর। সইফিনার ছোট ছেলে জেহ-এর বয়স সবে মাত্র দুই বছর। সইফ আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি চান তাঁর ছেলেমেয়েও বলিউডের গ্ল্যামার জগতে কাজ করুক। যদিও তৈমুরকে নিয়ে সম্প্রতি অন্য কথা জানিয়েছেন সইফ।
তৈমুর প্রসঙ্গে সইফ
দুই সন্তানকে নিয়ে সুখের সংসার সইফ-করিনার। পতৌদি নবাব জানিয়েছেন, বলিউডের গ্ল্যামারের নয় বরং তৈমুরের পছন্দ একটু আলাদা। খেলা আর মিউজিকের প্রতি বিশেষ আগ্রহ করেছে তাঁর। ফিল্ম কম্প্যানিয়নকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সইফ জানিয়েছেন, তৈমুর লিড গিটারিস্ট বা ক্রীড়াব্যক্তিত্ব হতে চায়। ছোট্ট টিমটিমের ইচ্ছে, আর্জেন্টিনায় গিয়ে ফুটবল খেলোয়াড় হওয়ার। আরও পড়ুন: ফের রামমন্দিরে এলেন, করলেন রামলালার দর্শন, অযোধ্য়ায় কোন বিশেষ কাজে গেলেন অমিতাভ বচ্চন
সাক্ষাৎকারে সইফ-করিনা জানিয়েছেন, ‘তৈমুর মুম্বই ছেড়ে আর্জেন্টিনা চলে যেতে চায়’। করিনার মন্তব্য, ‘তৈমুর মনে হয় না অভিনয় করতে চায়’। পাশে বসে থাকা সইফ তৎক্ষণাৎ বলেন, ‘ও ফুটবল প্লেয়ার হতে চায়। তবে গিটার বাজানোর প্রতিও ঝোঁক রয়েছে’। এরপরই করিনা ফাঁস করলেন, ‘লিওনেল মেসি হতে চায় তৈমুর’। তখনই স্ত্রীয়ের কথায় সায় দিয়ে সাফ জানান, ‘ও তো চায় আর্জেন্টিনা চলে যেতে। যাতে মেসির মতো ভালো ফুটবলার হতে পারে’।
আসলে, ঠাকুরদা মনসুর আলি খান ছিল কিংবদন্তী ভারতীয় ক্রিকেটার। ঠিক তাঁর মতোই খেলায় ইন্টারেস্ট তৈমুর আলি খানের। এ দিকে ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করার সময় ক্রিকেট খেলতেন সইফও। আর নবাব পরিবারের সেই ধারাই নাকি রয়েছে তৈমুরের মধ্যে।
সইফের ছেলেমেয়ে
সইফ আলি খানের মোট চার সন্তান। তাঁর প্রথম পক্ষে স্ত্রী অমৃতা সিং এবং তাঁর একটি ছেলে, একটি মেয়ে। সারা আলি খান এবং ইব্রাহিম আলি খান হলেন তাঁদের সন্তান। অন্যদিকে, করিনা এবং সইফের দুই পুত্র হল তৈমুর এবং জেহ।
সইফের শরীর কেমন আছে
গত ২২ জানুয়ারি কনুইয়ের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সইফ আলি খান। এরপরই তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ত্রোপচার করাবেন। অস্ত্রোপচারের এক দিনের মাথায় বাড়ি ফেরেন। হাতে বেল্ট বেঁধে চলাফেরা করছেন তিনি। এখনও চিকিৎসা চলছে অভিনেতার।
সম্প্রতি ছেলে তৈমুরকে সঙ্গে নিয়ে ঘোড়দৌড়ে মুম্বই ডার্বি ২০২৪ দেখতে হাজির হয়েছিলেন অভিনেতা। অস্ত্রোপচারের জন্য হাতে বেল্ট বাঁধা। ডার্বি নিয়ে বেজায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তিনি। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ফুরফুরে মেজাজে তিনি। শরীরও ভালো আছে। আসলে, এক অ্যাকশন দৃশ্যের শ্যুটিং করতে গিয়েই হাঁটুতে ও কনুইয়ের পুরনো আঘাত বেড়ে যায় অভিনেতার। অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হতেই ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। কোকিলাবেন হাসপাতালে ভর্তি করার পর অস্ত্রোপচার হয় পতৌদিদের 'ছোটে নবাব'-এর। অস্ত্রোপচারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ছাড়া পেয়ে যান সইফ।