বলিউড সুপরাস্টার সলমন খান ও তাঁর পুরো পরিবারের সঙ্গে সঙ্গীত পরিচালক জুটির পেশাগত এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা কারুরই অজানা নয়। ওয়াজিদ খানের দু দশক দীর্ঘ বলিউড মিউজিক কেরিয়ারের সিকিভাগ জুড়ে রয়েছেন ভাইজান। সলমন খানের ছবি দিয়েই শুরু এই যাত্রাপথ এবং এই স্মরণীয় যাত্রা শেষও হল ভাইজানের গান গিয়েই। প্রকৃত অর্থেই ‘ভাই-ভাই’-এর সম্পর্ক ছিল তাঁদের। প্রিয়জনকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ সলমন খান। এদিন টুইট বার্তায় তাঁর দীর্ঘদিনের সহকর্মী,বন্ধু,ভাই ওয়াজিদকে স্মরণ করে নিলেন দাবাং খান।
সলমন টুইটারের দেওয়ালে লেখেন,'ওয়াজিদ তোমাকে আজীবন ভালোবাসব,শ্রদ্ধা করব এবং মনে রাখব।শুধু ব্যক্তি হিসাবেই নয় তোমার প্রতিভাকেও আমি মিস করব। অনেক ভালোবাসা। তোমার সুন্দর আত্মার শান্তি কামনা করি…'
রবিবার গভীর রাতেই প্রয়াত হন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক জুটি সাজিদ-ওয়াজিদের ওয়াজিদ খান। জানা গিয়েছে গত চারদিন ধরে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ওয়াজিদ খান। কিডনিতে ইনফেকশন নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। দিন কয়েক আগেই তাঁর কিডনিতে অস্ত্রোপচারও হয়েছিল। রবিবার গভীর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ওয়াজিদ।সূত্রের খবর তাঁর করোনা রিপোর্টও পজিটিভ ছিল।
বলিউডে প্রায় দু দশক দীর্ঘ ওয়াজিদ খানের মিউজিক্যাল কেরিয়ার। আর সেই কেরিয়ার জুড়ে রয়েছেন তাঁর আদরের ভাইজান..তাঁর গড ফাদার সলমন খান। ১৯৯৮ সালে সলমন খানের প্যায়ার কিয়া তো ডরনা কিয়া ছবির সঙ্গে বলিউডে সফর শুরু সাজিদ-ওয়াজিদ জুটির। গত বাইশ বছর অভিনেতা-প্রযোজক সলমন খানের ২২টিরও বেশি ছবির অংশ হয়েছেন ওয়াজিদ। সঙ্গীত পরিচালক হিসাবে ওয়াজিদের শেষ ছবি ভাইজানের দাবাং থ্রি। সলমন খানের তিনটি লকডাউন সিঙ্গলসের দুটি ‘প্যায়ার করোনা’ এবং ইদ রিলিজ 'ভাই ভাই'-এর সঙ্গীতের দায়িত্বভার সামলেছেন সাজিদ-ওয়াজিদ।
দাবাং সিরিজ ছাড়াও হ্যালো ব্রাদার, তুম কো না ভুল পায়েঙ্গে, হাম তুমহারে হ্যায় সনম, তেরে নাম,গর্ব,পার্টনার,ওয়ান্টেড, থেকে এক থা টাইগারের মাশাল্লাহ- সলমনের সঙ্গে সাজিদ-ওয়াজিদের পেশাগত অ্যাশোশিয়েশন বেশ দীর্ঘ।
নিজের মিউজিক্যাল জার্নির জন্য প্রকাশ্যেই বারংবার সলমন খানকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ওয়াজিদ। সলমন খানের হাত আজীবন মাথার উপর থেকেছে ওয়াজিদের। এককথায় সলমন ওয়াজিদের গডফাদার। ভাইজান সম্পর্কে এক সাক্ষাত্কারে ওয়াজিদ জানিয়েছিলেন, সলমন খানের সান্নিধ্য পাওয়াটা সত্যি সৌভাগ্যের। উনি আমার বড় দাদা। সলমন খান খুব কম মানুষে বিশ্বাস রাখেন। কিন্তু সলমন খানের মধ্যে ট্যালেন্ট খুঁজে বার করবার একটা অদ্ভূত শক্তি রয়েছে। প্যায়ার কিয়া তো ডরনা কিয়া ছবিতে কিন্তু সোহল খান আমাদের ব্রেক দিয়েছিল,কিন্তু সলমন খানের থেকে অনেক শিখেছি। ভাইজান কাউকে ছোট করে দেখেন না। নিজে পরখ করে নেন।আমরা সৌভাগ্যবান'।