লাল নয়, গোলাপি রঙের বেনারসি পরে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন সন্দীপ্তা সেন। বর সৌম্যও ম্যাচিং শেরওয়ানিতেই এসেছিলেন আসরে। প্রথমে হয় রেজিস্ট্রি ম্যারেজ। মহিলা পুরোহিত নন্দিনীর মন্ত্রপাঠেই চার হাত এক হল।
২ ডিসেম্বর আংটি পরিয়েছিলেন তাঁরা একে-অপরকে। আর বৃহস্পতিবার ছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। সকালে গায়ে হলুদ, তারপর রেজিস্ট্রি। আর তারপর একইদিনে রিসেপশন। দুই বাড়ি থেকে একত্রে সব আয়োজন করা হয়েছিল। বিনোদন জগতের সঙ্গে যুক্ত সৌম্য নিজেও। কাজ করেন একটি নামী ওটিটি প্ল্যাটফর্মের উচ্চপদে। তাই টলিউডের তারকাদের মেলা বসেছিল এদিন বিবাহবাসরে।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় কিন্তু মিস করলেন না সন্দীপ্তার বিয়ে। লাল রঙের শার্ট আর গ্রে রঙের শ্যুটে সাজুগুজু করে বিয়েবাড়িতে আসেন প্রসেনজিৎ।
সন্দীপ্তার বিয়েতে এসেছিলেন বাংলার দুই ফেলুদা। অর্থাৎ আবির চট্টোপাধ্যায় আর টোটা রায়চৌধুরী। খাঁটি বাঙালি সাজে আসেন আবির। টোটার স্যুটেড বুটেড লুকও কাড়ে নজর।
কদিন পরই বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন অভিনেতা সৌরভ দাস। তাতে কি, বিয়েবাড়ি মিস করা চলে নাকি। সৌরভ গাঁটছড়া বাঁধছেন দর্শনা বণিকের সঙ্গে। নীল রঙের পঞ্জাবি পরে বিয়েবাড়িতে এসেছিলেন হবু বর সৌরভ। বেনারসি পানের মজা নিতে দেখা গেল তাঁকে।
এছাড়াও ছিলেন উষসী চক্রবর্তী, অলোকানন্দা গুহ, ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায়-সহ সৌম্য-সুদীপ্তার ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুরা।
বৃষ্টিভেজা দিনে গাঁটছড়া বাঁধেন বাংলা টেলিভিশনের দুর্গা। এমনকী বৃষ্টির জন্য শেষ মুহূর্তে ভেন্যুও বদলাতে হয়। খোলা আকাশের নীচে নয়, দক্ষিণ কলকাতার বাইপাস সংলগ্ন এক বিয়েবাড়ির অন্দরেই হয় বিয়ের অনুষ্ঠান।
নন্দিনী ভৌমিক বিয়ে দেন বৈদিক রীতিতে। যেখানে কন্যাদানের কোনও প্রথা নেই। বর যেমন বউয়ের সিঁথিতে সিঁদুর দেন, তেমনই বউও বরের কপালে সিঁদুরের টিপ পরিয়ে দেন।
২০২২ সালের জুন মাসে প্রথম সৌম্যর সঙ্গে সম্পর্ক অফিসিয়াল করেন সন্দীপ্তা। সৌম্যর সঙ্গে আলাপ নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে অভিনেত্রী আগেই জানিয়েছেন, ‘ওর সঙ্গে একটা মিউজিক লঞ্চের পার্টিতে দেখা হয়েছিল। তবে তার অনেক পড়ে গিয়ে আমাদের সম্পর্কের শুরু হয়। সৌম্যই আগে প্রোপোজ করেছিল। পড়ে আমি হ্যাঁ বলি।’
এদিকে বিয়েটা হয়ে গেলেও, হাতে রয়েছে কাজের চাপ। সন্দীপ্তার বোধন ২ মুক্তির অপেক্ষায়। তাই বেরিয়ে পড়তে হবে প্রোমোশনে। ১২ তারিখ থেকে দুজনেই কাজে ফিরবেন। আর বাকি থাকা হানিমুনটা পরে হবে বলেই জানিয়েছেন সন্দীপ্তা হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে। দুজনেরই ঘোরার শখ, তাই পাহাড় না সমুদ্রে হবে একান্তযাপন, সেটাও নাকি এখনও ঠিক করা হয়নি।