সানিয়া মির্জা আর শোয়েব মালিকের ডিভোর্স এখন টক অফ দ্য টাউন! অবশ্য শুধু টাউন বললে বড়ই ভুল হবে। পাকিস্তান ও ভারত, দুই দেশের অমজনতা থেকে তারকা, সবারই আলোচনায় এই ছাড়াছাড়ি। বছর দেড়েক ধরেই শোনা যাচ্ছিল, ছাদ আলাদা হয়েছে, ডিভোর্স নিয়েছেন। তবে প্রকাশ্যে কোনও পক্ষই এই নিয়ে মুখ খোলেনি। আচমকাই গত সপ্তাহে তৃতীয় বিয়ের ছবি শেয়ার করেন শোয়েব। আয়েশা সিদ্দিকী, টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার পর পাকিস্তানের অভিনেত্রী সানা জাভেদ। শোয়েব এই ছবি শেয়ার করার পর, সানিয়ার বাবা ইমরান মির্জা জানিয়েছেন, এটা খুলা ছিল।
খুলা-র মাধ্যমে একজন মুসলিম মহিলার নিজের স্বামীকে একতরফাভাবে তালাক দেওয়ার অধিকার রয়েছে। আর তারপর থেকেই শোয়েব-সানিয়ার একাধিক ভিডিয়ো ভাইরাল সোশ্যালে। যেখানে প্রকাশ্যে দুজনকে বাকবিতণ্ডায় জড়াতে দেখা গিয়েছিল। আর এগুলি দেখে অনেকেই দাবি করছেন, সংসারে ভাঙন ধরেছিল অনেক আগেই।
একটি ভিডিয়োতে সানিয়া আর শোয়েব এসেছেন কোনও এক কুকিং শো-তে। আর সেখানে সানিয়া হঠাৎই বলে ওঠেন, ‘ও মায়ের খুব বড় চামচা।’ আর এই মন্তব্য করার পর, শোয়েবকে নকল করে ‘মাম্মিজি’ও বলে ওঠেন সানিয়া।
বউয়ের মুখে এমন কথা শুনে শোয়েব বলে ওঠেন, ‘আমি আসলে আমার বাবার চামচা ছিলাম। বাবা মারা যাওয়ার পর মায়ের চামচা তো হতেই হত’। এতেও ছাড়ার পাত্রী নন সানিয়া। বলে ওঠেন বরকে (তখনও ডিভোর্সের কথা ওঠেনি) থামিয়ে, ‘এবার সমবেদনা পেতে চাইছে’।
এরপর সানিয়াকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘আসলে বিয়ের ১২ বছর পর না মানুষকে অনেক কিছুই পাত্তা না দিয়ে থাকতে হয়।’ শোয়েব এরপর ফের ধামাচাপা দিতে বলেন, ‘মনে হচ্ছে না তুমি অনেক বেশি কথা বলছ। কিছুই তো লেট গো করছ না (পাত্তা না দেওয়া)।’
সানিয়ার আগে আয়েশা সিদ্দিকি নামে এক ভারতীয় মহিলাকেই বিয়ে করেছিলেন শোয়েব। ২০১০ সালে আয়েশা সিদ্দিকির সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়, আর সেই বছরই শোয়েব বিয়ে করেন সানিয়াকে। মাঝে কয়েকমাসের ব্যবধান ছিল মাত্র।
ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া আর পাকিস্তানের ক্রিকেটার শোয়েব মালিকের বিয়ে নিয়ে সেই সময় কম কটাক্ষ হয়নি সেইসময়। তবে একাধিকবার ভালোবাসা ও সফল বিয়ের উদাহরণ রেখেছিলেন তাঁরা সামাজিক মাধ্যমে। দুজন দুজনের কেরিয়ারে দাঁড়িয়েছিলেন ঢাল হিসেবেও। বছর পাঁচেক আগে জন্ম হয় ছেলে ইজহানের। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম তাঁদের বিচ্ছেদের খবর সামনে এসেছিল। এতদিনে তাতে পড়ল শিলমোহর।