সারার কথায়, ‘আমিও অনেক সময় বাবা-মাকে আমার শিকার বানিয়েছি, ব্ল্যাকমেইল করেছি। তখন আমার বয়স ১১, বাবার কাছে গিয়ে বলেছি, আব্বা, এখানে মা নেই, আমাদের তাই এটা দিতেই হবে। আবার যখন আমার বয়স ১৫ তখন গিয়ে বলেছি, আব্বা তুমি আমাদের সঙ্গে থাকো না, তাই এটা আমাদের চাই।’
শীঘ্রই আসছে সারা আলি খানের ছবি ‘গ্যাসলাইট’। জোর কদমে চলছে ছবির প্রচার। সেই সুবাদেই একাধিক সাক্ষাৎকারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে সারা আলি খানকে। সম্প্রতি তেমনই এক সাক্ষাৎকারে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে অকপট সারা। সইফ-অমৃতা কন্যার কথায় তিনি এবং তাঁর ভাই ইব্রাহিম বিবাহ-বিচ্ছিন্না বাবা-মায়ের সন্তান। সেকারণে অনেক কঠিন বিষয়েরই মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁদের। আবার তিনি এবং ইব্রাহিমও কখনও কখমও আলাদা থাকার আবেগকে কাজে লাগিয়ে বাবা-মাকে ব্যবহার করেছেন বলে অকপটে জানান সারা।
সারার কথায়, ‘আমিও অনেক সময় বাবা-মাকে আমার শিকার বানিয়েছি, ব্ল্যাকমেইল করেছি। তখন আমার বয়স ১১, বাবার কাছে গিয়ে বলেছি, আব্বা, এখানে মা নেই, আমাদের তাই এটা দিতেই হবে। আবার যখন আমার বয়স ১৫ তখন গিয়ে বলেছি, আব্বা তুমি আমাদের সঙ্গে থাকো না, তাই এটা আমাদের চাই।’
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে সারা আলি খান বলেছিলেন, ‘আমি ছোট থেকেই অনেক পরিপক্ক ছিলাম। যখন আমার ৯ বছর বয়স, তখনই বুঝতাম, বাবা-মা একসঙ্গে সুখে নেই। বরং তাঁরা আলাদা থাকার পর থেকে অনেক হাসিখুশি জীবন কাটিয়েছেন। প্রথম ১০ বছরে আমি মায়ের মুখে হাসি দেখিনি, যেটা বাবার থেকে আলাদা হওয়ার পর দেখেছি। যদি দুটি পৃথক বাড়িতে বাবা-মাকে সুখী দেখি, তাহলে আমরা দুঃখ কেন পাব!’ প্রসঙ্গত সইফ-অমৃতার বিচ্ছেদের পর সারা ও ইব্রাহিমে বড় করেন অমৃতা, তবে সইফের সঙ্গেও তাঁদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।
সইফ ও অমৃতা ১৯৯১ সালের জানুয়ারিতে বিয়ে করেন এবং ১৩ বছর একসঙ্গে থাকার পর ২০০৪ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। সারার জন্ম ১৯৯৫ সালের ১২ অগস্ট এবং ইব্রাহিমের জন্ম ২০০১ সালের ৫ মার্চ । সইফ ২০১২ সালে ফের করিনা কাপুরকে বিয়ে করেন। বর্তমানে তাঁদেরও দুই সন্তান তৈমুর আলি খান ও জাহাঙ্গির আলি খান।
প্রসঙ্গত, আগামী ৩১ মার্চ ডিজনি + হটস্টারে মুক্তি পাবে সারা আলি খানের ‘গ্যাসলাইট’।