জি বাংলা সারেগামাপা-র মঞ্চে অল্পের জন্য ট্রফি হাতছাড়া হয়েছিল কালিম্পং-এর ছেলে অ্যালবার্ট কাবো লেপচার। তবে জাতীয় মঞ্চে সকলকে পিছনে ফেললেন তিনি। রবিবার জি টিভি সারেগামাপা ২০২৩-র খেতাব জিতলেন কাবো। আট মাসের জার্নি শেষে কালিম্পং-এর টুরিস্ট গাইড হারিয়ে দিলেন রণিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সোনিয়া গেজমের,স্নেহা ভট্টাচার্য এবং নিষ্ঠা শর্মাকে।
আট মাসের শিশুকন্যার মৃত্যুশোক বুকে চেপে মায়ানগরীতে নতুন সফর শুরু করেছিলেন কাবো। সঙ্গী তাঁর স্ত্রী পূজা ছেত্রী। কাবোর কঠিন লড়াইয়ে সারাক্ষণ তাঁকে আগলে রেখেছেন পূজা। ট্রফি জয়ের যাবতীয় শ্রেয় স্ত্রীকেই দিলেন গায়ক। বিজএশিয়ালাইভ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রফি হাতে কাবো বলেন, ‘দারুণ অনুভূতি। খুব ভালো লাগছে। এই মঞ্চে এসেছিলাম আমার স্ত্রী এবং মেয়ে এভিলিনের জন্য। এটা স্বপ্নছিল, আজ সেটা পূরণ হল। সেই লক্ষ্য নিয়ে এসেছিলাম সেটা সফল হয়েছে। গোটা দেশ থেকে আমার যে দর্শক, যে ফ্যানেরা আমাকে ভোট দিয়েছেন তাঁদের মন থেকে ধন্যবাদ জানাতে চাই’।
বউয়ের পারমিশন নিয়েই সব কাজ করেন তিনি, জানাতে ভুললেন না সারেগামাপা-র বিজয়ী। কাবোর জানান, 'পূজা তো সবসময় আমাকে সাপোর্ট করে। আমি সব কাজ আমার স্ত্রীকে জিগ্গেস করেই করি। জীবনের সব সমস্য়ায় আমার পাশে দাঁড়িয়েছে পূজা। ও যতটা আজ খুশি, আমি ততটাই খুশি।'
নিজের শহর ছেড়ে মুম্বইয়ে এসে নতুন লড়াই, কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল? কাবো বললেন,' প্রথমবার যখন অডিশন দিতে এসেছিলাম সেই পরিস্থিতি কঠিন ছিল। আমার হিন্দি উচ্চারণ ওতোটাও সঠিক নয়। কিন্তু সকল বিচারক আমাকে সাহায্য করেছেন। আমি আগে কখনও প্রশিক্ষণ নিইনি। এখানে অনেক ভালো সঙ্গীতশিল্পী ছিল, তবে আমি হার মানিনি।'
এদিন ট্রফি ছাড়াও ১০ লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কার জিতলেন কাবো। গ্র্যান্ড ফিনালেতে বিশেষ অতিথি হিসাবে দেখা মিলল গোবিন্দা, ভিকি কৌশল, সানিয়া মালহোত্রা, ফাতিমা সানা শেখের। এই সিজনে সারেগামাপা ফিনালের পাঁচ প্রতিযোগির মধ্যে বাংলার প্রতিনিধির সংখ্যা ছিল চার। কাবোর এই জয়ে গর্বিত গোটা বাংলা। রানার্স আপ হলেন নিষ্ঠা শর্মা।
আগামিতে আরও ভালো কাজ করাই কাবোর একমাত্র লক্ষ্য, বললেন-আগে আরও ভালো কাজ করতে চাই। দর্শকদের মন জিততে চাই।' বিজিত প্রতিযোগিদের প্রশংসাতেও পঞ্চমুখ কাবো। জানান, ‘ওঁরা আমার চেয়ে ভালো পারফর্ম করেছে। আমি ওদের থেকে শিখি সবসময়। ভবিষ্যতে ওরা খুব ভালো কাজ করবে।’