বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Satish Kaushik: ‘যা চেয়েছিলাম, তার চেয়েও বেশি’, মুম্বইয়ে সতীশের প্রথম দিনের ছবি ফিরে এল গল্প নিয়ে

Satish Kaushik: ‘যা চেয়েছিলাম, তার চেয়েও বেশি’, মুম্বইয়ে সতীশের প্রথম দিনের ছবি ফিরে এল গল্প নিয়ে

মুম্বইয়ে পা রাখার প্রথম দিন সতীশ কৌশিকের ছবি

Satish Kaushik: ৯ অগস্ট ১৯৭৯, অভিনেতা হওয়ার ইচ্ছে নিয়ে পশ্চিম এক্সেপ্রেমে চেপে মুম্বই এসেছিলেন সতীশ কৌশিক। এরপর দীর্ঘ যাত্রা। ২০২০ সালে এই ছবি ভাগ করে পুরনো স্ম-তি হাতড়েছিলেন কৌতুক অভিনেতা।

প্রয়াত সতীশ কৌশিক। বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন অভিনেতা। জীবনের রঙ্গমঞ্চ থেকে অভিনেতার আচমকা বিদায় মেনে নিতে পারছেন না কাছের মানুষ এবং ভক্তরা। একের পর এক আইকনিক চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করেছেন সতীশ।

অভিনেতা কিংবা কৌতুকশিল্পী হিসাবেই নয় পরিচালক এবং প্রযোজক হিসাবেও পরিচিত সতীশ কৌশিক। হরিয়ানার মহেন্দ্রগড়ে জন্ম অভিনেতার। হরিয়ানাতেই প্রাথমিক স্তরের পড়াশোনা করেছেন তিনি। এরপর দিল্লির কিরোরি মাল কলেজ থেকে ১৯৭২ সালে স্নাতক হন। এরপর ভর্তি হন ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা এবং ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে। মুম্বইতে প্রথমবার পা রাখার দিনটি কেমন ছিল, ২০২০ সালে টুইটারে একটি ছবি শেয়ার করে জানিয়েছিলেন সতীশ।

আরও পড়ুন: মুথুস্বামী থেকে ক্যালেন্ডার, যে চরিত্রগুলোর জন্য কখনও ভোলা যাবে না সতীশ কৌশিককে

কালো-সাদা ছবি। ট্রেনের বাইরে জানলায় হাত দিয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সতীশ। খুব সাধারণ জামা-প্যান্ট পরে তিনি। হাতে একটি ব্যাগ নেওয়া, পাশেই রাখা স্যুটকেস। পুরনো সেই সময়ের কথা স্মরণ করে অভিনেতা লেখেন, ‘৯ অগস্ট ১৯৭৯, অভিনেতা হওয়ার ইচ্ছে নিয়ে পশ্চিম এক্সেপ্রেমে চেপে মুম্বই এসেছিলাম। ১০ অগস্ট মুম্বইয়ে প্রথম সকাল ছিল। মুম্বই কাজ, বন্ধু, স্ত্রী, সন্তানদের, বাড়ি, ভালোবাসা, উষ্ণতা, সংগ্রাম, সাফল্য, ব্যর্থতা এবং সুখ নিয়ে বেঁচে থাকার সাহস দিয়েছে। শুভ সকাল মুম্বই এবং যা আমাকে স্বপ্নের চেয়ে বেশি দিয়েছে। ধন্যবাদ’।

শেখর কাপুর, উর্মিলা মাতোন্ডকর, তুষার কাপুর এবং প্রতীক গান্ধী সহ অনেক বলিউড তারকা সতীশের এই টুইটে কমেন্ট করেছিলেন।

অভিনেতা হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে মুম্বইয়ে এসেছিলেন সতীশ কৌশিক। ‘জানে ভি দো ইয়ারো’ (১৯৮৩) ছবির সংলাপও লিখেছিলেন তিনি। ১৯৮০ সালের গোড়ার দিলেন থিয়েটার অভিনেতা হিসাবে কাজ শুরু করেন। শেখরের ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ (১৯৮৭) ছবির সহকারী পরিচালক ছিলেন তিনি। ছবিতে ক্যালেন্ডারের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মনে ছাপ ফেলেছিলেন।

প্রথমবার ক্যামেরার মুখোমুখি হওয়ার অনুভূতিটা কেমন ছিল, ২০১৯ সালে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সতীশ জানিয়েছিলেন, 'মুম্বাইতে আমার প্রথম অভিনয়ের প্রজেক্ট ছিল নাসিরুদ্দিন (শাহ) এবং স্মিতা পাতিল অভিনীত চক্র নামক একটি ছবি। একটি খুব ছোট ভূমিকা ছিল। আমি একজন স্থানীয় উশৃঙ্খল ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেছি। আমি আমার প্রথম শট দেওয়ার পর, রাজকুমার সন্তোষী আমার কাছে এসে বললেন, 'ভালো অভিনেতা ইয়ার'। আমি মনে মনে বলেছিলাম ঈশ্বরকে ধন্যবাদ অন্তত কেউ বলেছে'!

বন্ধ করুন