ঢাকায় আয়োজিত হয়েছে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। আর সেখানেই আমন্ত্রিত ছিলেন অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। সম্প্রতি, তাই বাংলাদেশে গিয়েছিলেন শর্মিলা। সেখানে গিয়ে তিনি দেখা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। হাসিনার ব্যবহার খুবই অমায়িক বলে জানিয়েছেন শর্মিলা। কিন্তু কী কথা হল তাঁদের?
শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার বিষয়ে শর্মিলা ঠাকুর বলেন, ‘অত্যন্ত ব্যস্ততা সত্ত্বেও তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। আমাদের সময় দিয়েছেন। আমাদের সঙ্গে মন খুলে কথা বলেছেন, উৎসাহ নিয়ে ছবি তুলেছেন। পরের দিন আবার সেই ছবি আমাকে পাঠিয়েও দেন। সবমিলিয়ে আমার তাঁকে খুবই সহজ মানুষ বলে মনে হয়েছে। ওঁর অমায়িক ব্যবহারে আমার ওঁকে প্রধানমন্ত্রীর বদলে সাধারণ মানুষ বলেই মনে হয়েছে। তাঁকে আপনজন বলে মনে হয়েছে।’
আরও পড়ুন-‘আমার দিদি চলে গেল, কিন্তু…' শ্রীলা মজুমদারকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অঝোরে কাঁদলেন ঋতুপর্ণা
আরও পড়ুন-নক্ষত্রপতন! ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধে হার মানলেন অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদার
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে এর আগেও গিয়েছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। এর আগে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। শেখ হাসিনা এবার অভিনেত্রীকে সেই কথা মনে করিয়ে দেন। চলচ্চিত্র উৎসব নিয়েও কথা হয়েছে তাঁদের। সেবিষয়ে তাঁর আগ্রহের কথা শার্মিলা ঠাকুরকে জানান হাসিনা।
চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি ঢাকা ক্লাবের স্য়ামসন লাউঞ্জে 'প্রেস মিট উইথ শর্মিলা' অনুষ্ঠানেও হাজির হয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেখানে উত্তম কুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি নিজের জীবনের নানান কথাও বলেন শর্মিলা। বাংলাদেশের অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরের সঞ্চালনায় সেই অনুষ্ঠানে উঠে আসে সত্য়জিৎ রায়ের 'অপুর সংসার' ছবির প্রসঙ্গ। সত্যজিতের সেই ছবির হাত ধরেই একদিন অভিনয় দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন শর্মিলা। তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৩।
শর্মিলা ঠাকুর জানান, সত্য়জিৎ রায়ের 'অপুর সংসার' ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব এলেও তাঁর পরিবার প্রথমে তাতে রাজি ছিল না। শেষপর্যন্ত পরিচালকই তাঁর পরিবারকে রাজি করান। শর্মিলার কথায়, ‘মানিকদা (সত্য়জিৎ রায়) যদি সেদিন আমার পরিবারকে রাজি না করাতেন, তাহলে হয়ত আমার অভিনয়েই আসা হত না। হয়ত আমি শান্তিনিকেতনে পড়তাম, কিংবা অন্য পেশায় জড়িয়ে যেতাম। ওঁর (সত্যজিৎ রায়) ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসা পেয়েছি, আর তাতে অভিনয় জীবনে আমাকে বিশেষ স্ট্রাগল করতে হয়নি। এটা আমার অভিনয় জীবনে আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ শর্মিলা ঠাকুর জানান, তিনি উত্তম কুমারকে শ্রদ্ধা করলেও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ।