‘লক আপ’-এ ফের বোমা। ফের একবার সামনে এল ‘ভয়ংকর সত্য’! আর এবারের ঘটনা শুনে চোখ ছানাবড়া দর্শকদের। ‘লক আপ’ প্রতিযোগী শিবম শর্মা, করণবীর বোহরা ও পায়েল রোহাতগির নামে চার্জশিট পেশ করা হয়। আর সবার আগে বাজার টেপেন শিবম। তারপর তাঁকে সুযোগ দেওয়া হয় জীবনের একটি লুকনো সত্য সামনে এনে নিজেকে এলিমিনেশন থেকে বাঁচানোর।
তারপরেই শিবম জানান, তিনি নিজের মায়ের বান্ধবীর থেকে যৌন সুবিধে নিয়েছেন। যে কিনা ডিভোর্সিও। সাথে জানান, দু'জনের সম্মতিতেই সেই সম্পর্ক হয়েছে।
শিবম বলেন, ‘একজন মহিলা ছিলেন, একজন বৌদি আমার বাড়ির পাশে। সে আমার মায়ের বন্ধুও ছিল। আমার এটা নোংরা মনে হয় না, কারণ সে ডিভোর্সি ছিল আর আমি তাঁর যৌন চাহিদা মেটাতে সাহায্য করেছি। আমি খুব ভালো হোয়াইট সস পাস্তা বানাতে পারি, তো তার বাড়িতে সেটাই বানিয়ে নিয়ে যেতাম ও ভালো সময় কাটাতাম। যদিও এটা খুব পুরনো ঘটনা, এটা হয়েছিল ৮-৯ বছর আগে যখন আমি কলেজে পড়তাম।’
এরপর কঙ্গনা শিবমকে বলেন, তিনি যেটা লিখেছেন সেটাই যেন তিনি সবাইকে জোরে জোরে পড়ে শোনান। তখন শিবম পড়ে, ‘আমাদের পুরোন বাড়ির উল্টোদিকে একটা বৌদি থাকত। সে আমার মায়ের বন্ধু ছিল। আমি তার বাড়িতে পাস্তা রান্না করে নিয়ে যেতাম, আর বিছানা গরম (bed h*t karke) করে বাড়ি আসতাম।’ শিবম এরপর আরও বলেন, ‘এটাকেই বলে প্যায়ার দো প্যায়র লো। কারণ জীবন কষ্টে ভরা আর তোমার কাজ হচ্ছে আনন্দ ছড়ানো।’
কঙ্গনা সিবমের এই কথার প্রত্যুত্তরে প্রশ্ন করেন, তাঁর কাছে কি ভালোবাসার অর্থ এটাই, সানা খানকেও তিনি কি এরকমই ভালোবাসেন? এর উত্তরে ‘দিল্লি কা লন্ডা’ জানায়, ‘না ম্যাম আমি তো তখন ছোট বাচ্চা ছিলাম। এখন আরও বড় বড় দুষ্টুমি করব।’
শিবমের কথা শুনে চমকে ওঠা ববিতা ফোগতকে কঙ্গনা প্রশ্ন করেন এই ব্যাপারে তাঁর কী মত। ববিতা জানায়, ‘আমি তো এসব ভাবতেও পারি না। আমার ভাবনার সাথে ওর ভাবনা মিলবে না। আমার মনে হয় বয়সের কথা তো মাথায় রাখতে পারতে!’ সঙ্গে এটাকে সে ‘ব্যবহার করা কাউকে’ বলেও মনে করে।
আর কঙ্গনার মতে তিনি অবাক হননি কারণ, প্রথম থেকেই এই শিবমকে লুক্খা লাগে তাঁর….