তথাকথিত রাজনীতি গাইডবুকের ছক ভেঙেছেন হেলায়। তিনি মদন মিত্র। দাপুটে রাজনীতিবিদ হয়েও মিউজিক ভিডিয়োতে অংশগ্ৰহণ করা থেকে শুরু করে র্যাপ গাওয়া সবকিছুতেই আছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, 'কালারফুল বয়'। সামাজিক মাধ্যমেও যথেষ্ট জনপ্রিয় বিধায়ক মদন মিত্র। সেই তিনিই রাজনীতির মঞ্চ থেকে মুহুর্মুহু স্লোগান কিংবা টোপর রাজনৈতিক বক্তৃতা দিয়ে নয়, অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে রীতিমতো গান গেয়ে জমিয়ে দিলেন। না, রবীন্দ্রসংগীত নয়। গেয়ে উঠলেন নিজের 'সিগনেচার' গান 'ওহ লাভলি!'
নববর্ষের প্রথম দিনে গড়িয়ার মিতালি সংঘের একটি অনুষ্ঠানে বিধায়ক বা নেতা নয়, শিল্পী মদন মিত্র আমন্ত্রিত ছিলেন। আর সেখানেই, তাঁর গলায় শোনা গেল 'ওহ লাভলি!' জানিয়ে রাখা ভালো, বাংলার বিধানসভা ভোটের আগে, মূলত বিজেপিকে কটাক্ষ করেই এই গান শোনা গেছিল মদনবাবুর গলায়। তাঁর এই গান নেটপাড়ায় অচিরেই ভাইরাল হওয়ার পাশাপাশি জায়গা করে নিয়েছিল মানুষের মুখে মুখে।
ফেরা যাক মিতালি সংঘের অনুষ্ঠান মঞ্চে। সেখান থেকে তিনি বলে ওঠেন, 'আমি গায়ক নই, তবে লোকে আমাকে বলে, নায়ক নেহি....' দু'কলি গান গেয়ে শোনান মদন মিত্র। তিনি জানান , 'রাজনীতিতে কতটা সফল হয়েছি জানি না কিন্তু, মানুষ আমার মধ্যে শিল্পীকে খুঁজে পেয়েছেন এতেই আমি অভিভূত। রাজনীতিতে সফল কিনা জানি না তবে শিল্পী হিসেবে এই সম্মান আমাকে আনন্দ দিয়েছে।' উল্লেখ্য, বর্তমানে কলকাতা তো বটেই নদিয়া, হাওড়া ও হুগলির একাধিক জায়গা থেকেও শিল্পী হিসেবে ডাক পেয়েছেন তিনি। আমন্ত্রণ পত্রে মদন মিত্রের নামের পাশে রাজনীতিবিদ, বিধায়ক হিসেবে লেখা থাকলেও শিল্পী হিসেবেও আহ্বান করা হচ্ছে থাকে। তবে আজকাল শিল্পী হিসেবেও ডাক পেয়ে যে যথেষ্ট খুশি এই পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ, টি অবলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রসঙ্গত,দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো রবীন্দ্রসংগীত চর্চা শুরু করেছিলেন বিধায়ক মদন মিত্র।৩ ডিসেম্বর, নিজের জন্মদিনের দিন রবীন্দ্রসংগীতের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশও করেছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। সম্প্রতি, নিজের স্ত্রীকে নিয়ে ‘দিদি নম্বর ১’র মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন মদন মিত্র।মদন-পত্নী জানান, একটুতেই নাকি রাগ হয়ে যায় তাঁর বরের। তবে, রাগ পড়ে গেলে বউকে গান গেয়ে কাছেও টেনে নেন।