মঙ্গলবার রাতে লন্ডন থেকে মু্ম্বইয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সোনম কাপুর আহুজা। মেয়েকে দেখতে আর তর সইছিল না অনিল কাপুরের। সোজা এয়ারপোর্টেই হাজির হয়েছিলেন তিনি। প্রায় এক বছর পর পরিবারের কাছে ফিরতে পেরে আবেগঘন সোনম।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে বাবা-মেয়ের পুনর্মিলনের একাধিক ভিডিয়ো। এয়ারপোর্টের টার্মিন্যাল থেকে বেরিয়ে এসেই ‘হাই ড্যাড’ বলেন সোনম, এরপর বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে দেখা যায় নায়িকাকে।
কর্মসূত্রে সোনমের স্বামী আনন্দ আহুজা লন্ডনের বাসিন্দা, ওখানেই তাঁর যাবতীয় বিজনেস। গত বছর জুলাইতে স্বামীর সঙ্গে লন্ডন রওনা দিয়েছিলেন সোনম, এরপর থেকে করোনা আবহে দেশে ফেরেননি অনিল কন্যা। বিয়ের পর কখনও লন্ডন, কখনও দিল্লিতে আনন্দের পৈতৃক বাড়িতে থাকলেও এতটা লম্বা সময় কোনওদিন বাবা-মা'কে ছেড়ে থাকেননি সোনম। স্বাভাবিকভাবেই ইমোশান্যাল নায়িকা। মেয়েকে কাছে পেয়ে আবেগঘন অনিল কাপুরও।
গত এপ্রিলেই সোনম জানিয়েছিলেন দেশে ফিরতে কতখানি আগ্রহী তিনি। সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে অনিল কাপুর জানিয়েছেন, ‘প্রত্যেক বাবা-মায়ের মতো আমি আর সুনীতাও আমাদের সন্তানদের মিস করি, যখনই তাঁরা দূরে থাকে, অবশ্যই তাঁদের নিয়ে চিন্তা হয়। কিন্তু সত্যি বলছি আমরা সৌভাগ্যশালী যে টেকনোলজির যুগে আমরা বাস করছি, যখন ইচ্ছা চাইলেই তাঁদের সরাসরি দেখতে পাই, সেটা একটা বড় শান্তি'।
এদিন এয়ারপোর্টে ফ্যাশনিস্তা সোনমের দেখা মিলল ডিজাইনার স্কার্ট ও নীল রঙা ব্লেজারে। করোনা আবহে মুখে মাস্ক লাগিয়ে রেখেছিলেন তিনি। বক্স অফিসে সোনমের শেষ ছবি ছিল, দ্য জোয়া ফ্যাক্টর (২০১৯)- যা একেবারেই ব্যর্থ হয়। মাসখানেক আগেই নেটফ্লিক্সের সিরিজ একে ভার্সেস একে'তে ক্যামিও চরিত্রে দেখা মিলেছে সোনমের। অভিনেত্রীর হাতে রয়েছে প্রযোজক সুজয় ঘোষের ক্রাইম থ্রিলার ‘ব্লাইন্ড’।