বিপদমুক্ত নন অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বর্ষীয়ান শিল্পীর শারীরিক পরিস্থিত নিয়ে কোনও আশার বাণী শোনাচ্ছেন না চিকিত্সকরা, এখনও ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রয়েছেন ৮৫ বছর বয়সী প্রবীন অভিনেতা। তবে নতুন করে তাঁর পরিস্থিতির অবনতি হয়নি বলে খবর হাসপাতাল সূত্রে। কোভিড এনসেফ্যালোপ্যাথির সমস্যায় মস্তিষ্ক আগেই স্বাভাবিকভাবে কাজ করা বন্ধ করেছে, এবার দুটি কিডনিতেই সমস্যা দেখা গিয়েছে। যার জেরে মঙ্গলবার থেকে তাঁর রেনাল রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি শুরু হয়েছে।
দুটি কিডনি কাজ বন্ধ করলে এই থেরাপি দেওয়া হয়। হেমোডায়ালিসিস, হেমোফিল্টারেশন এবং হেমোডায়াফিল্টারেশনের মাধ্যমে এই থেরাপি চলে। সৌমিত্রবাবুর রক্তে প্লেটলেটের পরিমাণও একই রয়েছে। মঙ্গলবার তাঁর ফের শারীরিক পরীক্ষা হয়। জানা গিয়েছে সৌমিত্রর শারীরিক অবস্থা আগের থেকে কিছুটা স্থিতিশীল হলেও সঙ্কট একেবারেই কাটেনি। গত ২২ দিন ধরে মিন্টো পার্ক স্থিত এই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। ৫ অক্টোবর তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর পরেরদিন হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। তবে আক্রান্ত হওয়ার দু-সপ্তাহের মধ্যে করোনা মুক্ত হন তিনি।
সোমবার পরিবারের সঙ্গে আলোচনার পর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে ‘এন্ডোট্র্যাকিয়াল ইনটিউবেশন’ তথা ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। চিকিত্সকদের তরফে জানানো হয়েছে- ইউরিয়া ও ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ বেড়ে চলেছে। সম্পূর্ন ভেন্টিলেশনেও অভিনেতার অক্সিজেন স্যাচুরেশনের পরিমাণ ৯৫ শতাংশ। এই মুহূর্তে সৌমিত্রবাবুর স্নায়ুর সচেতনতা অর্থাত্ গ্লাসগো কোমা স্কেলে সূচক রয়েছে ৯-এর কাছাকাছি, তা চিকিত্সকদের উদ্বিগ্ন রেখেছে।
প্রবীণ অভিনেতার এক্স-রে রিপোর্টে নতুন ‘প্যাচ’ দেখা দিয়েছে। মূলত বয়স এবং কো-মর্বিডিটি তাঁর চিকিৎসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কোভিড এনসেফ্যালোপ্যাথির সমস্যা কিছুতেই কাটছে না, তাই আচ্ছন্ন অবস্থাতেই রয়েছেন প্রবীন অভিনেতা। স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞরা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের চেতনা ফেরাতে ভেন্টিলেশনের উপর নির্ভর করছেন।
করোনামুক্ত হওয়ার পর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় চিকিত্সা সাড়া দিচ্ছিলেন তবে অষ্টমীর দিন থেকে নতুন করে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। আপতত বর্ষীয়ান অভিনেতার শারীরিক পরিস্থিতিকে চিকিত্সাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হচ্ছে হিমোডায়নামিকালি স্টেবল। তবে ফাইট চালিয়ে যাচ্ছেন বাঙালির প্রিয় ‘খিদ্দা’।