রাজ চক্রবর্তীর ছবিতে সৌমিতৃষার কমেন্ট করা অনেকেই একসঙ্গে কাজের ইঙ্গিত বলে ধরেছিলেন। বাবলি-র শ্যুটে নর্থ বেঙ্গলে টিমের সঙ্গে যাওয়ার সময় ছবিখানা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছিলেন রাজ। সাদা টি-শার্ট, লেদার জ্যাকেটে হিরোসুলভ লুকেই ধরা দেন পরিচালক। আর সেই ছবিতে কমেন্ট করেছিলেন সৌমিতৃষা, ‘আরেহ বস’।
আর তারপর থেকেই ধরে নেওয়া হয়, কাজের সূত্র ধরেই এহেন মন্তব্য। কেউ কেউ আবার ধারণা করেন, বুঝি বা রাজের বাবলি-তে এরপর কোনও এক চরিত্রে দেখা যাবে সৌমিতৃষাকে। যাতে নায়িক শুভশ্রী, আর নায়ক আবির। জল্পনা বাড়তেই মুখ খুললেন অভিনেত্রী।
আসলে রাজকে তাঁর টিম ‘বস’ বলে ডাকে। আর সৌমিতৃষার মুখেও বস ডাকখানা জল্পনার আগুনে ঘি-এর মতো কাজ করেছিল। তবে এমন রটনায় একটু হলেও অবাক মিঠাই-নায়িকা। এইসময়কে বললেন, ‘বাবলিতে আমার থাকার প্রশ্নও ওঠে না। আমি যদি সিনেমাতে থাকতাম, তাহলে তো আমাকে মহরতেই দেখা যেত।’
সৌমিতৃষার আরও বক্তব্য, ‘কারও ছবিতে কোনও কমেন্ট করা মানেই তার সঙ্গে কাজের সম্পর্ক, ব্যাপারটা মোটেও তা নয়। রাজদা-র সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুল ভালো। তিনি আমার মেন্টর। আমাকে কাজে সাহায্য করেন। এর সঙ্গে ওর সিনেমায় আমার থাকার কোনও সম্পর্কই নেই।’
মিঠাই চলাকালীন দেবের সঙ্গেও একাধিক পোস্ট শেয়ার করতে দেখা যেত সৌমিতৃষাকে। নিজেকে দেবের অনুরাগী হিসেবেও পরিচিতি দিতেন। আপ তারপরই প্রধানের হাত ধরে সোজা পেয়ে যান দেবের নায়িকা হিসেবে বড় পর্দায় পা রাখার সুযোগ। সেই প্রসঙ্গে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমি যখন ৬-৭ এ পড়তাম তখন দেবদা, জিতদার ছবি কেটে ডায়রিতে লাগিয়ে রাখতাম। সেদিন হঠাৎই একটা জায়গায় দেখলাম দেবদার সঙ্গে আমার ছবি। দুজনের পোস্টার। এটা যে কতটা ভালো লাগা বলে বোঝাতে পারব না।’ তবে সেই সিনেমার পর, এখনও নিজের নতুন কোনও প্রোজেক্ট ঘোষণা করেননি তিনি।
এদিকে, সৌমিতৃষার উপরে অভিযোগ উঠেছে তিনি নাকি বড় পর্দায় কাজের সুযোগ পেয়েই বদলে গিয়েছেন। পুরনো ধারাবাহিকের সহকর্মীদেরই (তন্বী লাহা রায়) ইনস্টাগ্রামে আনফলো করে দিচ্ছেন। তবে ব্যবহার নিয়ে যতই প্রশ্ন উঠুক না, অভিনেত্রী যে কতটা কাজ পাগল তা প্রমাণ হয়েছে কদিন আগেই। একটি শ্যুট চলাকালীন সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় পায়ের বুড়ো াঙুলে আঘাত পেন। মারাত্মক ব্যথা নিয়েই করেন শ্যুটিং। এমনকী, রক্তও বেরিয়েছিল আঘাত থেকে। এরপর শ্যুট শেষ হতেই তড়িঘড়ি ছুড়েছিলেন হাসপাতালে। কিন্তু যত কষ্টই হোক, শ্যুট নষ্ট করেননি।