সৌরভ-ডোনার প্রেমের গল্প হার মানাবে সিনেমার চিত্রনাট্যকে। ক্রিকেটের মাঠে সৌরভের ডেয়ার ডেভিল অবতার কারুর অজানা নয়। তবে ২২ গজের বাইরেও ততটাই অকুতোভয় প্রেমিক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশের বাড়ির মেয়ের সঙ্গে গোপনে প্রেম, বিয়েটাও করেছিলেন লুকিয়ে। সেখান থেকে দাম্পত্য় জীবনের ২৭ বছর পার করে ফেলেছেন সৌরভ-ডোনা। আরও পড়ুন-সৌরভের দ্বিতীয় বিয়ে! দাদাগিরির মঞ্চে বেফাঁস দাদা,'ডোনা বৌদি জানে? প্রশ্ন ভক্তদের
ক্রিকেট থেকে এখন খানিক দূরে মহারাজ। তবে সাফল্যের সঙ্গে হোস্ট করছেন দাদাগিরির নতুন সিজন। আগের সিজনের মতো দাদাগিরি সিজন ১০-এরও হট টপিক সৌরভ-ডোনার লাভ স্টোরি! সৌরভ-ডোনার খুনসুটি ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে বহুবার দেখেছে দর্শক। ডোনা সশরীরে হাজির না থাকলেও এই গেম শো-এর প্রতি এপিসোডেই উঠে আসে তাঁর প্রসঙ্গ। ‘দাদাগিরি’র স্টেজে ডোনার প্রসঙ্গে বহুবার নিজেও টেনে আনেন সৌরভ। বউকে নিয়ে একাধিক সিক্রেট তিনি ফাঁস করেছেন ক্যামেরার সামনে। দিন কয়েক আগেই দাদাগিরি-র মঞ্চে হাজির হয়েছিল নিম ফুলের মধু পরিবার। সেখানেই রুচিরার প্রশ্নের জবাবে স্টেপ আউট করে ছক্কা হাঁকালেন দাদা। সেই ভিডিয়ো সম্প্রতি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
পর্ণার বান্ধবী তথা চয়নের প্রেমিকা রুচিরা ওরফে অভিনেত্রী সৌমি চক্রবর্তী সৌরভকে প্রশ্ন করেন, ‘তোমার জীবনে এমন কোনও (লাভ) স্টোরি আছে, যেটা প্রথমে ছিল তেঁতো তারপর আস্তে আস্তে মিষ্টি হয়েছে’। সৌরভ হাসিমুখে বলেন, ‘পার্সোনাল লাইফে তো এমন কোনও স্টোরি নেই। ম্যাডাম প্রথম থেকেই মিষ্টি’। এ কথা কারুর অজানা নয়, প্রকাশ্যে ডোনাকে ‘ম্যাডাম’ বলেই সম্বোধন করেন সৌরভ, অন্যদিকে ডোনা তাঁকে ‘দাদা’ বলে ডাকেন।
‘নিম ফুলের মধু’-তে পর্ণা-সৃজনের দাম্পত্য উঠা-পড়ার গল্প উঠে আসে। 'তেতোটুকু পার করলেই, পাবে মিঠের হদিশ' শুরু থেকেই এটাই এই সিরিয়ালের ট্যাগ লাইন, সেই সূত্র ধরেই সৌরভের সামনে প্রশ্ন রেখেছিলেন রুচিরা।
মাঠের লড়াকু ক্রিকেটার সৌরভ বাস্তব জীবনে আদ্যোপান্ত প্রেমিক মানুষ ছিলেন তা বেশ স্পষ্ট। ‘ম্যাডাম’ অন্তপ্রাণ তিনি। মহারাজের কিশোর বয়সের প্রেম ডোনা, পরস্পরের প্রতিবেশী ছিলেন দুজনে। তবে বেহালার গাঙ্গুলি আর রায় পরিবারের মধ্যেকার সম্পর্ক একেবারেই মধুর ছিল না। পরিবারের কাছে লুকিয়ে ১৯৯৬ সালের অগস্ট মাসেই আইনি বিয়েটা সেরে ফেলেছিলেন দুজনে। এক বছর পর সবটা জানাজানি হতে সামাজিক রীতি মেনে চারহাত এক হয় দুজনের।
দম্পতির একমাত্র কন্যে সানা। ব্রিটেনের নামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশনের ডিগ্রি লাভ করেছে সে। আপতত বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় কনস্যালট্যান্ট কোম্পানিতে কর্মরতা সানা।