রবিবার দাদাগিরির মঞ্চে হুল্লোড় করতে পৌঁছেছিল মিঠাই পরিবারের বেশ কিছু সদস্য। সিদ্ধার্থ-মিঠাইরা তো দিন কয়েক আগেই ঘুরে গিয়েছে এই মঞ্চ থেকে। তাই এবার নিপা,ধারা, রুদ্র এবং মিঠাই পরিবারের সবচেয়ে নতুন সদস্য ওমি হাজির দাদার সঙ্গে মজাদার গেম খেলতে আর আড্ডা দিতে। এদিন গল্পে, নাচে আর মজার খেলায় জমে উঠেছিল আসর।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার দাদাগিরির মঞ্চে হাজির মোদক বাড়ির ছোট মেয়ে নিপা। সঙ্গে তাঁর ‘সতীন’ ধারা আর মনের মানুষ রুদ্রদাও হাজির। এদিন দাদাগিরির মঞ্চে ফাটিয়ে দিল সে। নিজের বুদ্ধিমত্তায় সব্বার মন জিতে নিল টেলিপাড়ার এই খুদে সদস্যা। এদিন দাদার সামনে কড়া চ্যালেঞ্জ রাখে এই মিষ্টি অভিনেত্রী। সৌরভের কাছে তাঁর আবদার, ‘আমি তোমাকে কিছু বিশেষণ (ভুল বশত বিশ্লেষণ বলেন ঐন্দ্রিলা) বলব, সেগুলো শুনে তোমার টিম ইন্ডিয়ার কোনও প্লেয়ারের নাম মাথায় আসছে সেটা বলতে হবে’। ঐন্দ্রিলার আবদার মেনে সৌরভ পেটুক হিসাবে বেছেন নেন ভাজ্জিকে, বন্ধুত্বপূর্ণ নেহেরা, আর রাগী অনিল কুম্বলে। এরপর আসে আসল গুগলি। নিপা জানতে চায়, সহকর্মীদের মধ্যে ‘কিপটে’ কে ছিল? একটু ভেবে মুচকি হেসে সৌরভ জানান, ‘রাহুল দ্রাবিড়’। হ্যাঁ, ভারতীয় ক্রিকেট দলের বর্তমান কোচকে কিপটে বলে বসলেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট।
নিজের এই মন্তব্যের বাখ্যা দিয়ে সৌরভ যোগ করেন, ‘একদম ব্যাটিং-এর মতো…. অফ স্টাম্পের বাইরের বল খালি ছেড়েই যাচ্ছে। কোনও খরচ নেই’। এদিন নিজের পাশে লাগানোর মতো বিশেষণ বাছতে গিয়ে ‘ইউজলেস’ পছন্দ করেন সৌরভ। যা মোটে পছন্দ নয় নিপার।সে বলে, ‘না, না একদমই নয়। তুমি কেন ইউজলেস হবে, তুমি দাদাগিরির অ্যাঙ্কর’। সৌরভ পালটা বলেন, ‘দাদাগিরি অনেক সহজ। এখানে এলাম প্রশ্ন করলাম, চলে গেলাম’।
এদিন নিপা জানায়, এর আগে ছোটবেলায় দাদাগিরির আসরে এসেছিল সে। মজা করে সৌরভ বলে, ‘শিশু থেকে ইয়াং লেডি হয়ে গেল ঐন্দ্রিলা, আর দাদাগিরি এখনও চলছে’। নিপার ডান্স বাংলা ডান্স সঞ্চালনার ঝলকও এদিন ফের একবার টিভির পর্দায় ভেসে উঠে।
এদিন দাদাগিরির মঞ্চে সবচেয়ে দ্রুত ৫০ রান করে নিপা, এমনকি ৮৩ রান স্কোর করে দাদাগিরির ট্রফিও জেতে সে।