১৩ অগস্ট। আজ বলিউড সুপারস্টার শ্রীদেবীর জন্মবার্ষিকী। অভিনেত্রীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই কিংবদন্তীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে গুগল। বেঁচে থাকলে আজ ৬০ বছরে পা রাখতেন ‘চাঁদনি’ নায়িকা। সকাল থেকেই বলিউডের একাধিক তারকা অভিনেত্রীকে জন্মবার্ষিকীতে স্মরণ করে শুভেচ্ছা জানিয়েছে।
প্রয়াত সুপারস্টার অভিনেত্রীর বড় মেয়ে জাহ্নবী কাপুরও এ দিন স্মৃতির পাতা থেকে মায়ের একটি সাদাকালো ছবি পোস্ট করেছেন ইনস্টাগ্রামের পাতায়। ছবিতে শ্রীদেবী সিনেমার শ্যুটিং সেটে তাঁর মা (জাহ্নবীর দিদা)-এর কোলে বসে রয়েছেন। দীর্ঘ নোটে মায়ের প্রতি নিজের ভালোবাসা উজাড় করেছেন বলিউডের তরুণ প্রজন্মের এই অভিনেত্রী। আসলে ছোট থেকে একটু বেশিই মা ঘেঁষা ছিলেন জাহ্নবী। মা শ্রীদেবীর খুব কাছের ছিলেন তিনি। আরও পড়ুন: সাম্মানিক ডি. লিট পেলেন সুস্মিতা, মেয়ের হয়ে গ্রহণ করলেন বাবা সুবীর সেন
দীর্ঘ ক্যাপশনে মাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে জাহ্নবী লেখেন, ‘শুভ জন্মদিন মা। আমি জানি সিনেমার সেটে মায়ের সঙ্গে পছন্দের জায়গাগুলির মধ্যে এটি অন্যতম ছিল তোমার। আজ তোমার জন্মদিনে আমি যখন কোনও সেটে রয়েছি, নিজেকেও এমন ভাবেই যদি তোমার কোলে দেখতে পেতাম। তাহলে সবাইকে বোঝাতাম ৬০ নয় এটা ৩৫ বছরের জন্মদিন তোমার।’
শ্রীদেবী কন্যা আরও লেখেন, ‘নিজের সমস্তটা উজাড় করতে পেরেছি কিনা, যদি তুমি বোঝাতে পারতে! তোমাকে গর্বিত করতে পারলে তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারতাম। জানি তুমি আমাদের চেষ্টা করতে দেখেই খুশি হবে। প্রতিদিন তোমায় ভালোবাসি মা। তুমি এই গ্রহের সবচেয়ে বিশেষ নারী। জানি এখনও তুমি আমাদের সঙ্গে আছো। তুমিও আমাদের এগিয়ে যাওয়ার কারণ। আশাকরি তুমি আজ প্রচুর পায়েস, আইসক্রিম এবং ক্যারামেল কাস্টার্ড খাচ্ছো’।
১৯৬৩ সালের ১৩ অগাস্ট তামিলনাড়ুতে জন্মেছিলেন শ্রী আম্মা ইয়াঙ্গের আয়াপ্পন। পরবর্তীকালে দুনিয়া যাকে চেনেন শ্রীদেবী নামে। ছোট থেকেই তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও অসীম সৌন্দর্যের অধিকারী এই অভিনেত্রী। অনর্গল তেলুগু, তামিল, মালায়ালম, কন্নড় ও হিন্দি বলতে পারতেন তিনি। মাত্র ৪ বছর বয়সে অভিনয় জগতে অভিষেক হয়েছিল তাঁর।
'মাওয়ালি', 'তোহফা', 'নয়া কদম', 'মাস্টারজি', 'মকসদ', 'নজরানা' থেকে শুরু করে 'মিস্টার ইন্ডিয়া', ‘চাঁদনি’, ৮০-৯০ দশক জুড়ে একের পর এক হিট বলিউড ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন শ্রীদেবী। তাঁর ঝুলিতে হিট ছবির জুড়ি মেলা ভার।
২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ের জুমেইরাহ এমিরেটস টাওয়ারের বাথরুমের বাথটাবে তাঁখে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। মনে করা হয়, সেখানে দমবন্ধ হয়ে মারা যান তিনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি একটি দুর্ঘটনা। তার সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয় ভারতীয় চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল অধ্যায়।