আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা তারপরই রাজ চক্রবর্তী এবং শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের সংসারে নতুন সদস্য আসছে। তাঁদের দ্বিতীয় সন্তান শীঘ্রই ভূমিষ্ট হতে চলেছে। বর্তমানে শুভশ্রী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এই অবস্থাতেও তিনি তাঁর স্বামী এবং ছেলে ইউভানকে নিয়ে পুজোর সময় জমিয়ে মজা করেছেন। করেছেন দশমীর বরণও। আর সেই কারণেই চরম কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে অভিনেত্রীকে।
কী করেছেন শুভশ্রী
দশমীর দিন লাল পাড় সাদা শাড়ি, সোনার গয়নায় সেজে বরণ করতে যান শুভশ্রী। কাঠের তক্তা বেয়ে কাঠের বেদিতে উঠে আচার মেনে বরণ করেন দুর্গাকে। বরণ শেষে মাকে জড়িয়ে মনের কথাও জানান তিনি। বরণ শেষে মণ্ডপে উপস্থিত পরিচিতদের সঙ্গে তাঁকে সিঁদুর খেলতেও দেখা যায়। ছবি তোলেন রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে। দেখান তাঁর সাজ। কিন্তু অভিনেত্রীর এই কাণ্ড দেখেই চটেছেন নেটপাড়ার একাংশ। কেউ কেউ আবার সমর্থন করেছেন তাঁকে।
কী বলছে নেটপাড়া?
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফে শুভশ্রীর বরণের একটি রিল পোস্ট করা হলে সেখানে দুই ধরনের মন্তব্যই দেখা যায়। কেউ কেউ অভিনেত্রীকে সমর্থন করেন, কেউ কটাক্ষ করেন।
আরও পড়ুন: প্রসেনজিতের বিজয়া পার্টি যেন চাঁদের হাট! শুভশ্রী-রাজ সহ আর কারা কারা এলেন?
আরও পড়ুন: সন্তান আসার আগেই পুজোর আমেজে মাতোয়ারা শুভশ্রী, অভিনেত্রীর জন্য কে গাইলেন পুজোর গান?
এক ব্যক্তি শুভশ্রীকে রীতিমত তুলোধনা করে লেখেন, '৮ মাসে কে ঠাকুর ধরে? ৫ মাসের পর আর ধরতে নেই। এই অনাচারের জন্যই দেশের এই দশা।' আরেকজন লেখেন, '৫ মাসের পর শিশুর চুল গজিয়ে যায় মাথায় তাই ওই সময়ের পর আর কেউ ঠাকুর ধরে না। এটুকুও জানেন না নাকি?'
তবে অধিকাংশ মানুষই শুভশ্রীর সমর্থনে কথা বলেন। এক ব্যক্তি লেখেন, 'মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু এই কথা কেন বলা হয় বুঝলাম। উনি ভালো থাকার জন্য পুজো করলে, বরণ করলে কার কীসের সমস্যা? ভালো কিছু না পারি খারাপ বলতে ওস্তাদ আমরা।' আরেকজন লেখেন, 'আমি যখন গর্ভবতী ছিলাম আমি তখন নিয়মিত পুজো করতাম। আমার শাশুড়ি বলতেন যা করলে ভালো থাকো করো। আর ঠাকুরকে না খাইয়ে রাখব নাকি?'