সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলার মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীর বেশ কিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট দিন কয়েক আগেই ফাঁস হয়ে যায় সংবাদমাধ্যমে। রিয়ার ফোন থেকে ডিলিট হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের সূত্র ধরে জলেবি নায়িকার সঙ্গে মাদকচক্রের যোগ থাকার হদিশ পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
রিয়ার ওই চর্চিত ড্রাগ চ্যাটেই উল্লেখ রয়েছে গৌরব আর্যর নাম। যেখানে MDMA এবং মারিজুয়ানার সেবনের কথা উল্লেখ করেছেন রিয়া। গতকালই গৌরব আর্যকে ৩১ অগস্ট সকাল ১১টার মধ্যে মুম্বইয়ে ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সুশান্ত মৃত্যু মামলা সংক্রান্ত আর্থিক তছরুপের দিকটা খতিয়ে দেখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডির তরফে সমন জারি হওয়ার পর রবিবার গোয়ার হোটেল থেকে বেরিয়ে মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন গৌরব আর্য।
এদিন গোয়া এয়ারপোর্টে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গৌরব আর্য বলেন, তিনি সুশান্তের সঙ্গে জীবনে কোনওদিনও দেখা করেননি। তবে রিয়া চক্রবর্তী তাঁর পরিচিত। ২০১৭ সালে রিয়ার সঙ্গে শেষ কথা হয় তাঁর।
পেশায় হোটেল ব্যবসায়ী গৌরব আর্য। গোয়ার অনজুনায় দ্য ট্যামারিন্ড হোটেলের মালিক গৌরব। ২০১৭ সালের মার্চ মাসের সেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে কী লিখেছিলেন রিয়া ও গৌরব?
ফাঁস হওয়া সেই চ্যাটে রিয়া লেখেন, যদি তুমি হার্ড ড্রাগের কথা বল, তাহলে আমি বেশি কিছু করিনি, তবে একবার এমডিএমএ সেবন করেছি'। এরপর রিয়া লেখেন, ‘তোমার কাছে কি এমডি রয়েছে ?’
আন্ডার ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে যোগ রয়েছেন গৌরব আর্যর, বলিউডের রেভ পার্টিতে ড্রাগ সরবরাহ করে থাকেন তিনি। ২০১৫ সাল থেকে রিয়ার সঙ্গে তাঁর পরিচয়, এমনই অভিযোগ উঠে আসবে। যদিও ড্রাগ ব়্যাকেটের সঙ্গে কোনওরকম যোগসাজশ থাকবার কথা অস্বীকার করেছেন গৌরব।
সুশান্তের মৃত্যু মামলায় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর হস্তক্ষেপ দাবি করে গত মঙ্গলবার এনসিবিকে চিঠি লেখে ইডি। এরপর গত বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলায় যোগ দেয় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। এবং প্রাথমিক তথ্য খতিয়ে দেখে সেদিনই নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্স আইনের আওতায় রিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়।