সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে নেমে কী বড়সড় রহস্য উদঘাটনের মুখে সিবিআই? আজ সিবিআইয়ের মুম্বই তদন্তের তৃতীয় দিন দ্রুত গতিতে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শনিবারের পর রবিবারও বান্দ্রার কার্টার রোডের মাউন্ট ব্লাঙ্ক অ্যাপার্টমেন্ট জুড়ে সিবিআই আধিকারিকদের তত্পরতা। এদিন সকালে সাড়ে ন'টা থেকেই ডিআরডিও গেস্ট হাউজে সুশান্তের ফ্ল্যাট মেইট সিদ্ধার্থ পিঠানি, সুশান্তের রাঁধুনি নীরজ এবং হাউজ হেল্প নীরজকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এরপর দুপুর আড়েইটে নাগাদ সুশান্তের অ্যাপার্টমেন্টে হাজির হন তাঁরা। সঙ্গে রয়েছেন সিদ্ধার্থ,নীরজ ও দীপেশ। গতকালও সিদ্ধার্থ ও নীরজকে নিয়ে প্রায় সাত ঘন্টা এই অ্যাপার্টমেন্টে তদন্ত চালায় সিবিআই। পুনঃনির্মাণ করা হয় ক্রাইম সিন। ১৪ জুন সুশান্তের মৃত্যুর সময় এই অ্যাপার্টমেন্টে উপস্থিত ছিলেন পাঁচজন। তাঁদের তিনজনকে নিয়ে ১৩ জুন ও ১৪ জুনের ঘটনাক্রম ফের যাচাই করে দেখছে সিবিআই।
তবে শনিবারের পর ফের কেন রবিবারও সিদ্ধার্থ পিঠানি ও নীরজকে আনা হল এই অ্যাপার্টমেন্টে। রিপাবলিক মিডিয়া সূত্রে খবর, মামলার সঙ্গে জড়িত এই দুই ব্যক্তির বয়ানে বেশ কিছু অসংগতি ধরা পড়েছে সিবিআই আধিকারিকদের কাছে। ১৩ ও ১৪ জুনের ঘটনাক্রমের বর্ণনা দেওয়ার ক্ষেত্রেই সেই পার্থক্য খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। শুক্রবার থেকে এই নিয়ে টানা তিনদিন ধরে জেরা করা হচ্ছে নীরজকে। জীবদ্দশায় শেষবার নীরজের সঙ্গে কথা বলেছিলেন সুশান্ত, এমনটাই জানা গিয়েছে মুম্বই পুলিশকে দেওয়া বয়ান থেকে।অন্যদিকে ১৪ জুন চাবিওয়ালা তালা ভাঙার পর প্রথম সুশান্তের বেডরুমে ঢুকে অভিনেতার ঝুলন্ত দেহ দেখেন সিদ্ধার্থ। এরপর ঘরের ভিতর ঢোকেন দীপেশ এবং নীরজ।
ক্রাইম সিনের পুনঃনির্মাণের পাশাপাশি শনিবার সুশান্তের অ্যাপার্টমেন্টের চতুর্দিক খতিয়ে দেখে সিবিআইয়ের ফরেনসিক টিম। ঘটনার প্রায় ৬৮ দিনের মাথাতেও কোনওরকম ফরেনসিক এভিডেন্স পাওয়া সম্ভবপর কিনা তা নিশ্চিত করতে চেযেছেন সিবিআইয়ের টিম। সূত্রের খবর এদিন সিবিআইয়ের প্রায় ২৫-২৭ জনের একটি টিম হাজির ছিল সুশান্তের বাড়িতে। সাতটি গাড়িতে শনিবার দুপুর ২.২৫ মিনিট নাগাদ বান্দ্রার কার্টার রোডের মাউন্ট ব্ল্যাঙ্ক অ্যাপার্টমেন্টে হাজির হন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা।
আজ এই মামলার মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীর বাড়িতেও যেতে পারে সিবিআইয়ের টিম। অথবা সমনও পাঠানো হতে পারে রিয়া চক্রবর্তীকে।