সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তে মুম্বই গতকাল মুম্বই পৌঁছানোর পর থেকে ততপর সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল। শুক্রবার সকালে তিনটি দলে ভাগ হয়ে এই মামলার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে সিবিআইয়ের ১৫ সদস্যের টিম। যেখানে রয়েছেন ৬ জন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ। নিময় মেনেই এই মামলার তদন্ত করছে। সিবিআইয়ের স্ট্যান্ডার্ড প্রসেডিং অনুয়ায়ী শুক্রবার সকালে মুম্বই পুলিশের জোন ৯ (বান্দ্রা)-এর ডিসিপি অভিষেক ত্রিমুখের সঙ্গে বৈঠক করল সিবিআইয়ের একটি টিম। সেই দলে ছিলেন সিবিআইয়ের এসপি নূপূর প্রসাদ।
এদিন প্রায় ৩০ মিনিট ধরে অভিষেক ত্রিমুখের সঙ্গে সাক্ষাত্ করে সিবিআইয়ের টিম। এবং সেখান থেকে বেশ কিছু লাল কাপড়ে মোড়া ফাইল এবং ল্যাপটপ নিয়ে বার হতে দেখা যায় সিবিআই টিমকে। জানিয়ে রাখি, এই অভিষেক ত্রিমুখের সঙ্গে রিয়ার কথোপকথনের খবর দিন কয়েক আগেই ফাঁস হয়ে যায় মিডিয়ায়। সুশান্তের মৃত্যুর পর ২০শে জুন থেকে ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে পাঁচবার রিয়া ও ডিসিপি অভিষেক ত্রিমুখের সঙ্গে কথা বলেন রিয়া, বলছে এই মামলার মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীর কল ডিটেলস রেকর্ড।
ডিসিপির অফিস থেকে সোজা বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনে পায়ে হেঁটে পৌঁছায় সিবিআইয়ের টিম। সেখানে এই মামলার আইও-র সঙ্গে কথা বলছে তাঁরা। উল্লেখ্য সুশান্তের মৃত্যুর ৬৭ দিনের মাথায় মুম্বইয়ে পৌঁছেছে সিবিআই টিম। এতদিন সুশান্তের মামলার ইনকুয়েস্ট করেছে মুম্বই পুলিশ। অর্থাত্ এফআইআর দায়ের না করায়, আইনি পরিভাষায় মুম্বই পুলিশের এই তদন্তকে ইনকোয়ারি হিসাবে চিহ্নিত করা যায় না। সেই ইনকুয়েস্টের সমস্ত রিপোর্ট এদিন মুম্বই পুলিশের কাছ থেকে বুঝে নিচ্ছে সিবিআই।
এছাড়াও এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ সিবিআইয়ের ‘ডেরা’য় আনা হল এক ব্যক্তিকে, জানা যাচ্ছে সেই ব্যক্তি সুশান্তের রাঁধুনি নীরজ। জীবদ্দশায় শেষবার নীরজের সঙ্গেই কথা বলেছিলেন সুশান্ত। তাই এই তদন্তের গুরুত্বপূর্ন সূত্র হতে চলেছে নীরজ, খবর সিবিআই সূত্রে।
জানা যাচ্ছে, বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনে এই মুহূর্তে সিবিআইয়ে যে টিম পৌঁছেছে তাঁরা সেখান থেকে সুশান্তের কার্টার রোডের ওই অ্যাপার্টমেন্টেও যেতে পারে বলে জানাচ্ছে টাইমস নাও।