শুক্রবারের পর আজ ফের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের প্রশ্নের মুখে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মামলার মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার প্রায় ৯ ঘন্টা ধরে জেরা করা হয়ে রিয়া চক্রবর্তীকে। জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয় নায়িকার ভাই শৌভিক চক্রবর্তীকেও। এরপর শনিবার ম্যারাথন জেরার মুখে পড়তে হয় শৌভিক চক্রবর্তীকে। টানা ১৮ ঘন্টা ধরে তদন্তকারীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় শৌভিককে। শনিবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ ইডির বালার্ড এস্টেট এলাকাস্থিত দফতরে হাজির হয়েছিলেন শৌভিক,সারারাত ধরে জেরা চলে তাঁর। রবিবার সকাল সাড়ে ছ'টা নাগাদ ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে যান শৌভিক।
আজ ইডির প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে রিয়ার বাবা ইন্দ্রজিত্ চক্রবর্তীকেও। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত আর্থিক তছরুপের মামলার তদন্ত করছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা।আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন (PMLA) আওতায় আগেই বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে রিয়া, শৌভিক এবং অভিনেত্রীর বিজনেস ম্যানেজার শ্রুতি মোদী ও চার্টার্ড অ্যাকাউটেন্ট রীতেশ শাহের। জানা গিয়েছে আজ ইডি প্রশ্নের মুখে পড়বেন সুশান্তের ফ্ল্যাট মেইট এবং ক্রিয়েটিভ ম্যানেজার সিদ্ধার্থ পিঠানিকে।
সুশান্ত সিং রাজপুত প্রতিষ্ঠিত দুটি সংস্থার ডিরেক্টারের পদেও রয়েছেন রিয়া ও তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী, এবং বাবা ইন্দ্রজিত্ চক্রবর্তী। সুশান্তের আরও দুটি কোম্পানিও রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। সেই চারটি কোম্পানি সম্পর্কেও তথ্য জানতে চায় ইডি।সুশান্তের সঙ্গে পরিচয়ের পর কীভাবে গোটা চক্রবর্তী পরিবারের আয় এবং ব্যায় একলাফে বেড়ে গিয়েছিল, সেটাও রয়েছে ইডির নজরে। জানা যাচ্ছে রিয়ার কাছে সুশান্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরাসরি খরচ করবার কোনওরকম আইনি অধিকার রয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে ইডি। অন্যদিকে মুম্বইয়ের খার এলাকাস্থিত রিয়ার একটি সম্পত্তিও নজরে রয়েছে ইডির।ইডি সূত্রে খবর, রিয়া জানিয়েছেন ৮৪ লক্ষ টাকার এই সম্পত্তি কিনেছেন তিনি। একদিকে সেই মূল্য যেমন বর্তমান বাজারদরের চেয়ে অনেক কম,তেমনই সেই অঙ্কের টাকাও রিয়া কোথা থেকে পেলেন? প্রশ্ন ইডির অফিসারদের। কারণ ২০১৮-১৯-এর আইটি ফাইল অনুযায়ী রিয়ার আয় ছিল মাত্র ১৪ লক্ষ টাকা!