সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মামলায় শুরু থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে উদ্ধব ঠাকরে সরকার। এবার উদ্ধব ঠাকরে সহযোগী দল এনসিপি নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ মজিদ মেমন টুইটারে সুশান্ত সিং রাজপুতকে নিয়ে এমন এক মন্তব্য করেছেন যা নিয়ে নিন্দার ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এদিন প্রয়াত অভিনেতার জনপ্রিয়তাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তাঁর প্রশ্ন ‘জীবদ্দশায় সুশান্ত ততটাও জনপ্রিয় ছিলেন না যতটা মৃত্যুর পরে হয়েছেন’। এখানেই থেমে থাকেননি মেমন। তিনি যোগ করেন, আজকাল তো মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিংবা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়েও বেশি জায়গা জুড়ে রয়েছেন সুশান্ত সিং রাজপুত।
মাজিদ মেমনের এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ময়দানে নেমে পড়ে এনসিপি। এবং দ্রুত ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে গিয়ে দলের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়- ‘মেমন যা বলেছেন সেটি তাঁর ব্যক্তিগত মতামত যার সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই’। অন্যদিকে মেমন পরবর্তীতে দাবি করেন তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করছে সংবাদমাধ্যম। তাঁর দাবি তিনি একবারও বলেননি যে সুশান্ত জনপ্রিয় ছিল না। বা তাঁর মৃত্যুর সুবিচারের প্রয়োজন নেই। তিনি শুধু বলেছেন সুশান্তে জীবিত অবস্থায় যে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তাঁর চেয়ে এখন বেশি জনপ্রিয় তিনি। কোনওভাবেই প্রয়াত অভিনেতাকে অপমান করবার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না তাঁর।
এর আগে শিবসেনা নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত প্রশ্ন তোলেন সুশান্তের সঙ্গে তাঁর পরিবারের সম্পর্ক নিয়ে। শিবসেনার মুখপত্র সামনার একটি কলামে রাউত লেখেন, বাবার সঙ্গে সুশান্তের সম্পর্ক মোটেই ভালো ছিল না। ‘এটা সত্যি, কতবার পটনা গিয়ে সুশান্ত তাঁর বাবার সঙ্গে দেখা করেছেন? আমার পূর্ণ সহমর্মিতা রয়েছে ওঁনার বাবার সঙ্গে’। এখানেই থেমে থাকেননি রাউত। তিনি বলেন, সুশান্তের বাবার দ্বিতীয় বিয়ের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি সুশান্ত,তাই বাবা-ছেলের সম্পর্কে ফাটল ধরে ছিল। এই ভুয়ো মন্তব্যের জেরে ইতিমধ্যেই সুশান্তের পরিবারের তরফে আইনি নোটিশ ধরানো হয়েছে সঞ্জয় রাউতকে।
মহারাষ্ট্রের জোট সরকারের বিভিন্ন দলের নেতাদের তরফে একের পর যেভাবে আক্রমণ শানানো হচ্ছে সুশান্ত ও তাঁর পরিবারের উপর তা প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাচ্ছে উদ্ধব ঠাকরে সরকারকে।