গোদা কথায় তারা ভাড়া করা পেশাদার খুনি। তবে ছোটোখাটো রাস্তার কোনও গ্যাং নয়। তাঁদের নিজেদের কথায়, ' দেশের সরকার যা সোজাসুজি করতে পারে না, তখন তাঁদের ডাক পড়ে'। কথা হচ্ছে 'দ্য এক্সপ্যান্ডেবলস'-দের নিয়ে। যেকোনও দুঃসাধ্য কাজ উৎরে দেওয়া থেকে আস্ত সেনাবাহিনী যাঁরা উড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তর্কাতীতভাবে হলিউডের অন্যতম সফল অ্যাকশন ছবির ফ্র্যাঞ্চাইজির নাম 'দ্য এক্সপ্যান্ডেবলস'। প্রায় ৭ বছর পর সিরিজের চার নম্বর ছবির মাধ্যমে বড়পর্দায় ফিরতে চলেছেন তাঁরা।
২০১০ সালে পরিচালনার 'দ্য এক্সপ্যান্ডেবলস' ছবির ফ্র্যাঞ্চাইজির সূচনা করেছিলেন বিখ্যাত হলিউড তারকা সিলভেস্টার স্ট্যালোন। এই সিরিজের তিনিই অন্যতম মুখ্যচরিত্র। মারকাটারি অ্যাকশন, দুর্ধর্ষ সব স্টান্টের সঙ্গে সিরিজের প্রতিটি ছবিতে যোগ হয়েছে হলিউডের তাবড় তাবড় অ্যাকশন নায়কদের নাম। পর্দায় তাঁদের একসঙ্গে দেখার আবেদনও এক লহমায় বাড়িয়েছে ছবির দর্শকদের সংখ্যা। এরপর এই সিরিজের আরও দুটো ছবিও বক্স অফিসের রেকর্ডের নিরিখে ছাপিয়ে গেছিল তার পূর্ববর্তীদের। এই সিরিজের তিনটি ছবির মোট বক্স অফিসের কালেকশন ছিল ৮০০ মিলিয়ন ডলারেরও ওপর। তাই স্বাভাবিকভাবেই আশা ছিল সিরিজের চার নম্বর ছবির। তবে ২০১৪ সালে 'এক্সপ্যান্ডেবলস ৩'-এর পর নানান জল্পনা হলেও সিরিজের পরবর্তী ছবির পোক্ত কোনও খবর আর শোনা যায়নি।তবে এবার গেল।
পরিচালক স্কট ওয়ার নির্দেশনায় চর্তুথবারের জন্য পর্দায় হাজির হচ্ছে 'এক্সপ্যান্ডেবলস'-রা। ছবির অন্যতম প্রযোজক লায়ন্সগেট-এর তরফে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিসহ করা হয়েছে এই ঘোষণা। এবারও মুখ্যভূমিকায় দেখা যাবে 'বার্নি রোস', 'লি ক্রিসমাস' অর্থাৎ সিলভেস্টার স্ট্যালোন, জ্যাসন স্ট্যাথামদের। সঙ্গে থাকছেন ডালফ ল্যান্ডগ্রেন, র্যান্ডি কুচারদের। সম্ভবত এবারও থাকছেন আর্নল্ড সোয়ার্জেনেগারও। এবার তাঁদের সঙ্গে মেগান ফক্স, টনি জা, কার্টিস '৫০ সেন্ট' জ্যাকসন-এর মতো বড় বড় হলিউড ব্যক্তিত্বদেরও দেখা যাবে এই ছবিতে। তবে শোনা যাচ্ছে স্ট্যালোনের বদলে নাকি এই ছবির গল্প এগোবে জ্যাসন স্ট্যাথামকে কেন্দ্র করে। অন্যদিকে ছবির নায়িকা হিসেবে দর্শকদের সামনে হাজির হবেন মেগান। সবকিছু ঠিকঠাক থাকে কটি বছরের শেষের দিকেই শুরু হবে ছবির শুটিং।