রবীন্দ্র সদনের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ হল টিবেটান ডিলাইট। চৌরঙ্গীর একটি এঁদো গলির মধ্যে এক ফালি একটি দোকান। কিন্তু এদের এখানকার তিব্বতি খাবার এক কথায় বললে এ ক্লাস! সস্তায়, দুর্দান্ত সব খাবার। অনেকের কাছেই তিব্বতি যে কোনও খাবার খেতে চাইলে এই দোকানটার নাম আগে মনে পড়ত। শুধু তাই নয়, বলা যায় কলকাতাকে তিব্বতি খাবারের স্বাদ চিনিয়েছে এই দোকানই। এখানে মোমো, থুকপা সহ আরও অনেক খাবার পাওয়া যায়। আর এ হেন ঐতিহ্যবাহী দোকান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
টিবেটান ডিলাইট ছবির ইতিহাস
১৯৮১ সালে জিৎবাদল মুখিয়া এবং উদয় মুখিয়ার হাত ধরে পথ চলা শুরু হয় টিবেটান ডিলাইটের। চৌরঙ্গীর এই এক ফালি গড়ে ওঠে তিব্বতি খানার আদর্শ ঠেক। এই পরিবার আদতে দার্জিলিংয়ের। কিন্তু তারপর তাঁরা কলকাতাতে এসে এখানেই থেকে যান। এই দোকানের খাবারের দাম এতটাই সাধ্যের মধ্যে এবং সুস্বাদু যে কলেজ পড়ুয়া থেকে বিদেশি, অফিস যাত্রী সহ তিব্বতি খাবার খেতে পছন্দ করেন যাঁরা তাঁদের অতি পছন্দের দোকান।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে মিঠুনকে দেখতে টলিউডের স্টারেরা, কী বলছেন তাঁরা? এখন কেমন আছেন তিনি
আরও পড়ুন: 'আমি একজন মেয়ে হয়ে...' বিবাহিত সত্যজিৎকে ভালোবেসেছিলেন মাধবী! তবুও কেন দূরে গিয়েছিলেন 'চারুলতা'?
কেন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে টিবেটান ডিলাইট?
টিবেটান ডিলাইট যে স্থানে অবস্থিত সেখানে রেস্তোরাঁ চালাতে গেলে দরকার আকাশছোঁয়া চিমনির। সেটা না হলে বন্ধ করতে হবে দোকান। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড। এসেছে নোটিশ।
২৭ জানুয়ারি এই দোকানের কাছে এই নোটিশ এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে যদি দোকান চালাতে হয় তাহলে পার্শ্ববর্তী যে বহুতল আছে তার থেকে লম্বা হতে হবে দোকানের চিমনি। সেই বহুতলের থেকে অন্তত ৩.৫ মিটার উঁচু হতেই হবে। নইলে চিরতরে ঝাঁপ বন্ধ হবে এই ঐতিহ্যবাহী দোকানের। ইতিমধ্যেই এই রেস্তোরাঁর জল এবং বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আরিয়ানকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য শাহরুখের থেকে ২৫ কোটি চাওয়ার অভিযোগ সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে, তদন্তে ইডি
আর চিমনির উচ্চতা বাড়াতে গেলে ওয়েল্ডিং করাতে হবে। আর সেটার জন্য দরকার বিদ্যুৎ যা এই দোকানের কর্তৃপক্ষ পাচ্ছে না। এখন এই জনপ্রিয় খাবারের দোকানের শেষ পরিণতি কী হয় সেটাই দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন সকলে।