পুজো মানে যতটা ঠাকুর দেখা, ততটাই হলে গিয়ে ভিড় জমানো। দুর্গা পুজোর ছুটিতে একটা বাংলা ছবি না দেখলেই নয়। এবারে চারটে ছবির কড়া টক্কর চলছে সিনেমাহলে। তবে এগিয়ে রয়েছে এসভিএফের দশম অবতার। যার পরিচালনা করেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, যিশু সেনগুপ্ত ও জয়া আহসান।
এসভিএফের তরফে জানানো হয়েছে, ৩ দিনে ২ কোটি আয় করেছে এই সিনেমা। বাংলা ছবির হিসেবে বক্স অফিসের এই হিসেব নেহাত মন্দ নয়। টলি বাংলা বক্স অফিসের তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, অষ্টমীতে দশম অবতারের টিকিট বিক্রি হয়েছে ১৫ হাজারের বেশি। বাঘা যতীনের টিকিট বিক্রি হয়েছে ১১ হাজারের কাছাকাছি। আর রক্তবীজের টিকিট বিক্রি হল ১০ হাজার মতো।
রোহিত শেট্টির স্টাইলে বাংলাতেও নিজের কপ ইউনিভার্স গড়েছেন সৃজিত। ‘২২ শ্রাবণ’-এর সিক্যুয়েল বানিয়েছিলেন, নাম ছিল ‘দ্বিতীয় পুরুষ’। আর ‘২২ শ্রাবণ’-এর প্রিক্যুয়েল ‘দশম অবতার’। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার রিভিউ অনুসারে, ‘মশলাদার বাণিজ্যিক ছবির কায়দায় তাঁদের 'দাবাং' স্টাইলে দেখানো হয়নি। বাস্তবের মাটিতে পা রেখেই 'দশম অবতার'-এর চরিত্রায়ণ করেছেন সৃজিত। প্রবীর রায়চৌধুরী (প্রসেনজিৎ) ও বিজয় (অনির্বাণ) তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ধরেন, ‘মগজাস্ত্র’ তাঁদের অত্যন্ত প্রখর। তবে আগের ওই দুটি ছবির সঙ্গে 'দশম অবতার'-এর পার্থক্য হল এটা অগের দুটির থেকে অনেক বেশি ‘mass film’ হিসাবে বানানো হয়েছে। এই গল্পে খুনি কে তা সবাই জানেন, তবে ‘২২ শ্রাবণ’ আর ‘দ্বিতীয় পুরুষ’-এর ক্ষেত্রে Back Story-তে যেমন চমক ছিল, এখানে সেই চমকটা মিসিং। মনে হবে, শেষে এমনই কিছু একটা হওয়ার ছিল। মোটিভ কী? কীভাবে তাঁকে ধরা হবেই দেখানো হয়েছে সিনেমাতে।’
আরও পড়ুন: মহাষ্টমীতে আদৃত-কৌশাম্বি একসঙ্গে! ছবি নিয়ে লুকোচুরি, চিনিয়ে দিল হাতের ট্যাটু
দশম অবতারকে কড়া টক্কর দিচ্ছে দেবের বাঘা যতীন। স্বাধীনতা সংগ্রামের স্বল্পজানা গল্পই তুলে ধরেছেন পরিচালক অরুণ রায়। দেবের নায়িকা এই ছবিতে নবাগতা সৃজা। যদিও খুব কম দৃশ্যেই তাঁর উপস্থিতি। বাঘা যতীনের কাছাকাছি আয় রক্তবীজের-ও। এই সিনেমার পরিচালনা করেছেন শিবপ্রসাদ আর নন্দিতা। ছবিতে প্রথবার একসঙ্গে আবির ও মিমি। ২০১৪ সালের খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ড এবং সেই তদন্তের সূত্র ধরে ছবির কাহিনি। তুলনায় তিনটি ছবির থেকে অনেকখানি পিছিয়ে কোয়েল মল্লিকের সিনেমা জঙ্গলে মিতিন মাসি। পরিচালনায় অরিন্দম শীল।