টলিউডে প্রেম ভাঙাগড়ার গল্প নতুন কিছু নয়। তবে তা খবরে উঠে আসেই। ছাইচাপা আগুনের মতো চাপা থাকে না ভালোবাসার গল্পও। আপাতত যেমন খবর রয়েছে, একে-অপরকে মন দিয়ে ফেলেছেন অনুশা বিশ্বনাথন আর আদিত্য সেনগুপ্ত।
আপাতত ‘জল থই থই ভালবাসা’ সিরিয়ালে দেখছে দর্শক অনুষাকে। অনীক দত্তের সুপারহিট ছবি ‘অপরাজিত’য় দুর্গার চরিত্রেও পছন্দ করেছে সিনেপ্রেমীরা। ‘মিথ্যে প্রেমের গান’, ‘দুর্গা সহায়’, ‘বরুণ বাবুর বন্ধু’, ‘ব্যোমকেশ’ সহ একাধিক প্রোজেক্টের অংশ ছিলেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি নাম কামিয়েছেন মডেলিংয়ের দুনিয়াতেও।
‘জেনারেশন আমি’র ‘পিয়া’ হিসেবেই অনুশার প্রথম পরিচিতি দর্শকমহলে। জনপ্রিয় পরিচালক অশোক বিশ্বনাথন এবং বাচিক শিল্পী মধুমন্তী মৈত্রের কন্যা তিনি। তার দাদু এন বিশ্বনাথনের ভালো নামডাক রয়েছে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে। ‘ক্যালকাটা বিশ্বনাথন’ বললেই এক ডাকে তাকে চিনত মানুষ। এর আগে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজে কাজ করলেও, সিরিয়ালে কাজ এই প্রথম।
শোনা যাচ্ছে, প্রেমে পড়েছেন তোতা। পরিচালক-অভিনেতা আদিত্য সেনগুপ্তের সঙ্গে আজকাল প্রায়ই নাকি দুজনকে দেখা যাচ্ছে ইতিউতি। তবে টলিপাড়ার অনেকেই অবাক হয়েছেন এই সম্পর্ককে ঘিরে। কারণ তোতা ওরফে অনুশার প্রেম ছিল এক চিত্রগ্রাহকের সঙ্গে। যদিও সেই ছাপ কোনওদিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় রাখেননি তিনি। অন্য দিকে, অনেকের ধারণা আদিত্য সেনগুপ্তও ছিলেন পৃথক একটি সম্পর্কে।
যদিও প্রেমের কথা মানতে চাননি অনুশা। সংবাদমাধ্যমকে সাফ জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলার কোনও ইচ্ছেই তাঁর নেই।
আপাতত ‘জল থই থই ভালবাসা’-র তোতা হিসেবে তাঁকে ভালোবাসছে দর্শক। সিরিয়ালে পা রেখেই ঘরে ঘরে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন অনুশা। ধারাবাহিকে অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্যর অনস্ক্রিন মেয়ে হিসেবে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। চলতি সপ্তাহে টিআরপি তালিকায় ষষ্ঠ স্থান পেয়েছে এই সিরিয়াল।
সিরিয়ালের পাশাপাশি বর্তমানে অনুশার হাতে রয়েছে একাধিক প্রোজেক্ট। নতুন বছরে মুক্তি পাওয়ার কথা ‘হাওয়া বদল ২’-এর। মৈনাক ভৌমিক পরিচালিত একটি ছবির শ্যুটও করে ফেলেছেন অনুশা।
অন্য দিকে, দেবাংশু সেনগুপ্ত-খেয়ালি দস্তিদারের সন্তান আদিত্য সেনগুপ্ত। ‘প্রজাপতি বিস্কুট’ ছবিতে লিড চরিত্রে কাজ করেছিলেন আদিত্য, যদিও বেশি ভালোবাসেন ক্যামেরার পিছনে থাকতেই। জিৎ-কোয়েলের ‘শেষ থেকে শুরু’র চিত্রনাট্যও (অ্যাডাপ্টেড) ছিল আদিত্যর লেখা। মা-বাবার বিয়ে ভাঙা, মার দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে ছেলেবেলা কম কটাক্ষের মুখে পড়েননি আদিত্য। যা নিয়ে কথাও বলেছিলেন, দিদি নম্বর ১-এ এসে।