স্পাইসজেটের হেনস্থার শিকার অভিনেত্রী তৃণা সাহা-সহ অন্যান্য যাত্রীরা। ইনস্টাগ্রামে ভিডিয়ো শেয়ার করে এই বিমান সংস্থার উপর ক্ষোভ জাহির করলেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রির এই জনপ্রিয় মুখ। ঘুরতে যাওয়ার খবর শুক্রবার রাতেই শেয়ার করে নিয়েছিলেন তৃণা। যদিও কোথায় যাচ্ছেন তা নিয়ে তৈরি করেছিলেন রহস্য। তবে শুক্রবার মধ্যরাতে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করলেন তৃণা সোশ্যালে। যেখানে দেখা গেল এয়ারপোর্টের ভিতরে স্পাইসজেটের এক কর্মীর সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছেন কিছু মানুষ।
তৃণা সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ঝামেলার একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে লিখলেন, ‘এই ভিডিয়োটি হল প্রমাণ কীভাবে কোনও নোটিশ ছাড়াই, কোন ঘোষণা ছাড়াই বিমান ধরার জন্য ৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। ৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরেও কতৃপক্ষের তরফে এক ফোঁটা ক্ষমা চাওয়ার সাহসও দেখানো হয়নি। যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ করার কথা তো ছেড়েই দিন। এই পোস্ট স্পাইস জেট আপনাদের জন্য।’
তৃণা এরপর আরও লেখেন, ‘শ্রী শুভ্রজিৎ রায়ের আচরণ এবং স্পাইস জেটের পুরো ব্যবস্থাপনায় বিরক্ত। আমরা তাদের কাছ থেকে একটা জলের বোতলও পাইনি। আমাদের মতো যারা থাইল্যান্ডে যাচ্ছেন, তাঁরা নিজেদের মূল্যবান সময় এবং শক্তি নষ্ট করবেন না এই এয়ারলায়েন্সের পিছনে।’
এরপর স্পাইসজেটের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তৃণা আরও লেখেন, ‘এর উপরে তাদের মনোভাব সত্যিই জঘন্য এবং তাদের অহংকার তো শীর্ষে। তারা আরও বলেছে যে এটি তাদের দায়িত্বও নয়। কোনও ক্ষমা চাওয়া নেই...কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই...কোনও অনুশোচনা নেই...কোনও সহানুভূতি নেই… দয়া করে আমাদের জানান @spicejetairlines এর সমাধান কি!!!’
তৃণার এই পোস্টে স্পাইসজেটের অব্যবস্থা নিয়ে মুখ খুলেছেন অনেকেই। ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ি লিখলেন, ‘তুমি তো ভাগ্যবান, যে মাত্র ৫ ঘণ্টার অপেক্ষা ছিল। আমি যখন বাগডোগরা গিয়েছিলাম তখন ১১ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিলাম। এরকমভাবেই আমরা বসেছিলাম কলকাতা এয়ারপোর্টে।’ আরেকজন লিখলেন, ‘এই সমস্যাটা স্পাইসজেটের। এই কর্মীর কোনও দোষ নেই। স্পাইসজেট বরাবরই এমন করে।’ তৃতীয়জন লিখলেন, ‘স্পাইসজেটকে বয়কট করা উচিত এখনই’।
চতুর্থজনের মন্তব্য, ‘বিশ্বব্যপী একই ছবি। স্বল্পমূল্যের এয়ারলাইনগুলি এই ধরনের বিলম্বের ক্ষেত্রে যাত্রীদের জন্য কোন আনুষঙ্গিক পরিকল্পনা নেয় না, ন্যূনতম পরিষেবা নিয়ে কাজ করে এবং যখন এই ধরনের পরিস্থিতি দেখা দেয়, তখন গ্রাউন্ড স্টাফরা সম্পূর্ণরূপে অজ্ঞাত থাকে। আপনাদের এত সহজে ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল না। এরকম পরিস্থিতিতে সংযোগকারী ফ্লাইট অনুপস্থিত মিস হলে, বীমা দাবি করা যেতে পারে। স্পাইসজেটের নামে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করুন এবং দয়া করে তা ট্র্যাক করতে থাকুন।’