টলিপাড়ায় রুবেল দাস আর শ্বেতা ভট্টাচার্যের জুটি বেশ জনপ্রিয়। টিভি পর্দার বাইরে এই দুই টেলি তারকার রসায়ন বেশ জনপ্রিয়। যদিও একে অপপরের সঙ্গে প্রেমের কথা এরাঁ কেউই কখনও গোপন করেন না। প্রায় সময়ই এদেঁর একে অপরের সঙ্গে সময় কাটাতে দেখা যায়। তাই অনুরাগী মনে প্রশ্ন, কবে এক হবে এই চার হাত?
এই জল্পনা উসকে দিয়ে শ্বেতার দুষ্টু মুখের ছবি দিয়ে মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা পোস্ট করেছেন রুবেল দাস। ক্যাপশানে লিখেছেন, 'কাউন্টডাউন প্রায় শেষ হয়ে এসেছে, আর মাত্র ২ দিনেক অপেক্ষা আমার কিউটি।' আর মাত্র দু'দিনের অপেক্ষা! কিন্তু কীসের? রুবেলের এমন পোস্টে অনুরাগীদের মনে ভিড় করেছে হাজারো প্রশ্ন। সকলেরই প্রশ্ন প্রশ্ন তবে কি রুবেল-শ্বেতার বিয়ে নাকি?
আরও পড়ুন-মার্কিন মুলুকেও শাহরুখ রাজত্ব, আমেরিকার বক্স অফিসে সেরা ৫-এ 'জওয়ান'
আরও পড়ুন-‘আদিল প্রতারণা করেছে’, প্রাক্তনের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ ও নিকাহ-র ভিডিয়ো পোস্ট রাখির
আজ্ঞে নাহ, বিয়ে নয়। আসলে ২১ শ্বেতা ভট্টাচার্যের জন্মদিন। আর তাই প্রেমিকার জন্মদিন সেলিব্রেট করার অপেক্ষায় এই পোস্ট করেছেন রুবেল দাস। অপেক্ষার প্রহর গুণছেন তিনি। এই পোস্টের নিচে কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। একজন লিখেছেন, ‘আর ২ দিনের অপেক্ষা, তারপরই পার্টি শুরু।’ কারোর মন্তব্য ‘কিউট ও ফানি এক্সপ্রেশন’। কেউ আবার শ্বেতার প্রতি ভালোবাসাা প্রকাশ করে লিখেছেন, খুবই মিষ্টি লাগছে। কেউ আবার দু'দিনের অপেক্ষার কথা শুনে প্রশ্ন করেছেন বিয়ে নাকি?
এর আগে রুবেলের জন্মদিনে কেক কেটে খাওয়া-দাওয়াার দারুণ আয়োজন করেছিলেন শ্বেতা। এখন দেখার শ্বেতার জন্মদিনে রুবেল কী আয়োজন করেন!
প্রসঙ্গত, সদ্য বড় দুর্ঘটনা সামলে উঠেছেন রুবেল। এখনও ক্রাচ ব্যবহার করেই হাঁটাচলা করতে হচ্ছে। নিম ফুলের মধু সিরিয়ালে এখন সৃজনের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। আর সেই সিরিয়ালের শ্যুটের সময়তেই বাসের উপর থেকে লাফ দেওয়ার একটা দৃশ্যের শ্যুটে দুই পায়ের গোড়ালি ভেঙে যায় রুবেলের। তারপর মাসখানেক ছিলেন সম্পূর্ণ বিশ্রামে। এই সময়টা সর্বক্ষণ তাঁর পাশে ছিলেন প্রেমিকা শ্বেতা। প্রেমিকার পাশে থাকা প্রসঙ্গে রুবেল বলেন, ‘অনেক কাছের মানুষকেও অনেকে এইরকম সময় পাশে পায় না। যেভাবে শ্বেতা এই সময়টাতে আমার পাশে ছিল। যেভাবে প্রত্যেকটা সময় আমার খেয়াল রেখেছে। শ্যুটিংয়ের সময়ও বাড়িতে এসেছে রোজ। যাতে আমি একা বোধ না করি, ডিপ্রেশনে না ভুগি। আমার পরিবার এই সময় যেভাবে আমার জন্য করেছে, ও ঠিক ততটাই করেছে।’