ফের বিপাকে জয়া প্রদা। এবার প্রাক্তন সাংসদ, তথা অভিনেত্রীকে পলাতক ঘোষণা করল আদালত। শুধু তাই নয়, অবিলম্বে জয়া প্রদাকে গ্রেফতার করে আগামী ৬ মার্চের মধ্যে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার, উত্তরপ্রদেশের রামপুরের একটি আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে।
সিনিয়র প্রসিকিউশন অফিসার অমরনাথ তিওয়ারি জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য কেমারি এবং সোয়ার থানায় রামপুরের প্রাক্তন সাংসদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের হয়। এই অভিযোগ দায়েরের পর একাধিকবার জয়া প্রদাকে হাজিরার নির্দেশ দেয় বিশেষ এমপি এমএলএ কোর্ট। তবে জয়া প্রদা হাজিরা দেননি। আর তাই তাঁর বিরুদ্ধে মোট ৭ বার জামিন অযোগ্য ধারায় পরোয়ানা জারি হয়। তবে তার পরেও তাঁকে আদালতে হাজির করতে পারেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন-বিয়ে করলেন সোহাগ জলের 'মউ', শুভদৃষ্টির সময় চোখ মারলেন অস্মিতা, বরকে নিয়ে একী বললেন…
পুলিশ আদালতে জানিয়েছেন, জয়া প্রদা বারবার গ্রেফতারি এড়িয়ে যাচ্ছেন। তাঁর সবকটি ফোন সুইচ অফ আসছে বারবার। মঙ্গলবার এই বিষয়টি আদালতে উঠে বিচারক শোভিত বনসল জয়াপ্রদাকে পলাতক ঘোষণা করেন। রামপুরের পুলিশ সুপারকে বিচারক নির্দেশ দেন আগামী ৬ মার্চের মধ্যে জয়াপ্রদাকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করতে হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে সিনেমাহল কর্মীদের করা একটা মামলায় জয়াপ্রদাকে জেল ও জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। ২০২৩-এর অগস্টে প্রাক্তন সাংসদ জয়াপ্রদাকে ৬ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছিল চেন্নাইয়ের আদালত। পাশাপাশি তাঁর ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। চেন্নাইয়ের এক থিয়েটার কর্মচারীর দায়ের করা এক মামলায় এই শাস্তি পেয়েছিলেন জয়াপ্রদা। চেন্নাইতে জয়াপ্রদার মালিকানাধীন একটি সিনেমা হল রয়েছে। যেটির নাম রাম কুমার এবং রাজা বাবু। সেই হলের কর্মীরা ESI না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন।
২০০৪ এবং ২০০৯ সালে সমাজবাদী পার্টির টিকিটে রামপুর থেকে লোকসভার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন জয়া প্রদা। পরে সমাজবাদী পার্টি তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এরপর ২০১৯ সালে বিজেপি প্রার্থী হয়ে রামপুর থেকে ফের নির্বাচনে লড়েছিলেন জয়া প্রদা। তবে সমাজবাদী পার্টির আজম খানের কাছে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন।