পাহাড়ে ছুটি কাটাচ্ছেন সকলের প্রিয় ‘জুন আন্টি’। বন্ধুদের সঙ্গে দার্জিলিং থেকে একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় পাতায়। বর্ষবরণের আগে ছুটি কাটাতে পাহাড়ে ছুটে গিয়েছেন উষসী চক্রবর্তী।
উষসীর সঙ্গে দার্জিলিংয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন শতরূপ ঘোষ এবং অন্যান্য বন্ধুরাও। ২০২৪ সালের প্রথম দিনে বন্ধুদের গ্রুপের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় ছবি শেয়ার করে সকলকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অভিনেত্রী। লেখেন, ‘কিছু কিছু মানুষ কিছু সম্পর্ক কখন বন্ধুত্ব থেকে আরও অনেক বেশি হয়ে ওঠে বোঝা যায় না। এইরকম কিছু স্পেশাল মানুষের সাথেই নতুন বছরটা শুরু করলাম। আপনাদের সবাইকে নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আশা করি আপনাদের আগামী বছর এইরকম ভালোবাসার বন্ধনে কাটবে’। আরও পড়ুন: স্ত্রীকে পাশে নিয়ে ২০২৪ সালকে স্বাগত জানালেন বরুণ, করলেন এক বিশেষ উপায়ে উদযাপন
পাহাড়ে ছুটি কাটানোর একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করেছেন উষসী। তিনি অবশ্য পোস্টের ক্য়াপশনে জানিয়েছেন, ‘কনকনে ঠান্ডা। চারদিক ছমছমে ঠান্ডা। বরফের চিহ্নমাত্র নেই।বরফের ফোরকাস্ট আছে বলে ফোন করে লজ্জা দেবেন না’।
শ্রীময়ী ধারাবাহিকে নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন উষসী চক্রবর্তী। যদিও অভিনেত্রী ‘জুন আন্টি’ নামে বেশি জনপ্রিয় দর্শকমহলে। অভিনয়ের দক্ষতা দিয়েই উষসী থেকে অচিরেই জুন আন্টি হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই যোগায়নের ভিডিয়ো পোস্ট করেন তিনি। যা নিয়ে মাঝে ট্রোলও হন। লাগাতার কটাক্ষের মুখে পড়ছিলেন উষসী, আসছিল কুপ্রস্তাব। এরপর ট্রোলারদের মুখ বন্ধ করতে কালো স্পোর্টস ব্রা আর ছাই রঙা ধোতি প্যান্ট পরে ‘কর্ণপীড়াসন’-এর ছবি পোস্ট করেছিলেন। এমনকি পোস্টের দীর্ঘ ক্য়াপশনে ট্রোলারদের ধুয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
কী লিখেছিলেন?
ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘যোগাসন দেখে মানসিক এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ অনেক পুরুষের মধ্যে যৌন ফ্যান্টাসি ফুলেফেঁপে উঠেছে। হয়তো সেইসব ভদ্রলোকদের যৌন খিদেটা বড্ড বেশি বা তাঁরা এমন পরিবেশে বড় হয়েছে যেখানে মেয়েদের অন্যের সামনে গালিগালাজ করাটা খুব সাধারণ ব্যাপার। অথবা তাঁদের আশেপাশের মেয়েদের সম্মান করার তাগিদটুকুও শেখানো হয় না। আমার তাঁদের প্রতি সমবেদনা রয়েছে, আর তাঁদের জীবনে থাকা মহিলাদের প্রতিও। আমার ফেক্সিবেল বডি দেখে যদি কোনও পুরুষের যৌনাকাঙ্খা জাগে তাতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু যেভাবে সেটা তাঁরা জাহির করে নিয়েছেন তাতে প্রমাণ হয় তাঁদের না আছে শিক্ষা, না আছে কোনও ক্লাস। পাবলিক ফোরামে কোনটুকু লেখা যায় সেই জ্ঞানটাও নেই।’