ঘটনাটা একেবারেই আশাতীত ছিল না। বুধবার আচমকাই এসেছিল বৈভবী উপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবর। ১৫ দিনের ছুটিতে হবু স্বামীর সঙ্গে হিমাচল প্রদেশে গিয়েছিলেন বৈভবী। হবু স্বামীর সঙ্গে হিমাচল প্রদেশে ভয়ঙ্কর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ‘সারাভাই ভার্সেস সারাভাই’-এর জেসমিনের। যদিও দুর্ঘটনার সময় চালকের আসনে বসা বৈভবীর হবু স্বামী অক্ষতই রয়েছেন। স্থানীয়দের কেউ কেউ দাবি করেছেন, সিটবেল্ট না বাঁধার কারণেই প্রাণ যায় অভিনেত্রীর। যদিও একথা অস্বীকার করেছেন বৈভবীর হবু স্বামী জয়।
তবে ঘটনার পর থেকে চুপচাপই ছিলেন বৈভবীর হবু স্বামী। তবে অবশেষে মুখ খুললেন জয় গান্ধী। সোশ্যাল মিডিয়ায় বৈভবীর সঙ্গে নিজের বাগদানের দিনের একটি ছবি পোস্ট করে জয় লিখেছেন, ‘আমি তোমাকে প্রতিদিন প্রতিটি মিনিটে মিস করি। তুমি সত্যিই কখনও চলে যাবেন না, আমি তোমাকে আমার হৃদয়ে চিরকাল ধরে রাখব। খুব শীঘ্রই চলে গেলে আমার গুন্ডি। আমি তোমাকে ভালোবাসি।’
আরও পড়ুন-প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয়ের সঙ্গে ডিনারে করিশ্মা, সন্তানদের জন্য সম্পর্ক কি ফের জোড়া লাগছে?
আরও পড়ুন-সেদিন আমি কেঁদে ফেলি, ইরফানও কেঁদেছিল…, ভয় পেত যদি ওকে ছেড়ে চলে যাই: সুতপা সিকদার

জয় গান্ধীর সঙ্গে বৈভবী উপাধ্যায়
যদিও জয় ইতিমধ্যেই তাঁর ইনস্টাগ্রামের প্রাইভেসি সেটিংসে পরিবর্তন করেছেন, তাঁর পোস্ট শুধু তাঁর অনুগামীরাই দেখতে পাবেন। জয়ের পোস্টের নিচে এক নেটজেন লিখেছেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে আমি হতবাক হয়ে যাই, আশা করি আপনি ওই ভয়ঙ্কর মুহূর্ত থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছেন। আপনার এই কঠিন সময়ের জন্য সত্যিই খারাপ লাগছে, বৈভবীর আত্মার শান্তি কামনা করি।’
বৈভবীর মৃত্যুর পর ই-টাইমসকে জয় গান্ধী জানিয়েছেন, ‘আমি এখনও কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই। তবে ঘটনাটা যখন ঘটেছে আমরা দাঁড়িয়েছিলাম, একটা ট্রাক পাস হওয়ার জন্য,তখনই দুর্ঘটনা ঘটে, লোকজন যেন না ধরে নেন যে আমরা দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলাম, কিংবা সিটবেল্ট পরিনি, এমনটা কিন্তু নয়।’ প্রসঙ্গত, সপ্তাহখানেক আগেই বৈভবী ও জয় বাগদান সেরেছিলেন, ডিসেম্বরে তাঁদের বিয়ের তারিখ পাকা ছিল। এদিকে বৈভবী এমন অকাল মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বিনোদন জগত।