মুক্তির পর ইউটিউবে হইচই ফেলে দিয়েছে ‘যশমিতা’র মিউজিক ভিডিয়ো ‘ও মন রে’। ৪৮ ঘন্টারও কম সময়ে গানের ভিউ সংখ্যা ২০ লক্ষ ছাড়িয়েছে। পাঁচ বছর পর অরণ্য-পাখির রি-ইউনিয়ন যে সুপার সাক্সেসফুল তা মানতেই হচ্ছে। ‘বোঝে না সে বোঝে না’ শেষ হওয়ার পর নিজেদের মতো করে কেরিয়ার গুছিয়েছেন যশ ও মধুমিতা। ছোট পর্দার গণ্ডি পেরিয়ে বড় পর্দার সফরও শুরু করেছেন দুজনেই। তবুও একসঙ্গে কাজ করতে লম্বা সময় লাগল দুজনেরই, তাও মাত্র ৪ মিনিটের মিউজিক ভিডিয়ো। ‘ও মন রে' দেখে নস্টালজিয়ায় ভাসা ‘যশমিতা' ভক্তদের মন যে কোনও মতেই ভরেনি তা বলে দিচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার কমেন্ট বক্স।
এর আগে বহুবার যশ-মধুমিতার ইগোর লড়াই বা ঝগড়ার গুঞ্জন টলিপাড়ায় ভেসে বেড়িয়েছে। বার কয়েক একসঙ্গে কাজের কথা এগোলেও শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসেছেন হিরো বা হিরোইন- এমনটাও শোনা গিয়েছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে মধুমিতার সঙ্গে মনোমালিন্য নিয়ে মুখ খুলেছেন যশ। ঝগড়া নয়, তবে মতোপার্থক্য ছিল এমনটা জানিয়েছেন ছোটপর্দার অরণ্য সিং রায়। যশ জানিয়েছেন, ‘ধারাবাহিকে ১৭-১৮ ঘন্টা ধরে শ্যুটিং করতাম আমরা। টেলিভিশনে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। ঠিকমতো ঘুম হতো না, এমনিতেই বিরক্ত লাগে। মধুমিতার সঙ্গে আমার বিরাট কোনও সমস্যা ছিল তা নয়, কোনওদিন শ্যুটিং ফ্লোরে মুখোমুখি আমাদের কোনও ঝামেলা হয়নি। তবে হ্যাঁ, এটা ঠিক আমরা কোনওদিনই ভালো বন্ধু ছিলাম না। কিন্তু বন্ধুত্ব না থাকলে যে কাজ করা যায় না তেমনটা নয়’।
যশের সঙ্গে তিন নায়িকার জুটি নিয়ে চর্চার শেষ নেই সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁর মধ্যে একজন আবার যশের বর্তমান সঙ্গীও (নুসরত জাহান) বটে। মধুমিতা-মিমি না নুসরত, কার সঙ্গে নিজের জুটিটা সেরা বলে মনে করেন খোদ যশ? দক্ষ কূটনীতিবিদের মতো যশের জবাব, ‘আমার তিনজনের সঙ্গেই কাজ করতে ভালো লাগে, কিন্তু কার সঙ্গে আমাকে ভালো লাগছে সেটা দর্শক ঠিক করেন। আমার ব্যক্তিগত ধারণা প্রত্যেক জুটিরই নির্দিষ্ট ফ্যান ফলোয়িং রয়েছে’।
দীর্ঘসময় ধরে ছোটপর্দা দাপিয়ে বেরিয়েছে যশ-মধুমিতা জুটি, এরপর ২০১৬ সালে মিমির হাত ধরে ‘গ্যাংস্টার’ যশ পা রাখেন টলিউডে। রুপোলি পর্দায় সবচেয়ে বেশিবার মিমির নায়ক হিসাবেই দেখা মিলেছে যশ দাশগুপ্তর।