ভারতীয় রেলওয়ে আস্থা স্পেশাল হিসাবে অন্তত ৬৬টি জায়গা থেকে স্পেশাল ট্রেন ছাড়বে বলে খবর। অযোধ্য়ায় তীর্থযাত্রীদের নিয়ে আসার জন্য় এই বিশেষ উদ্যোগ। রামমন্দির উদ্বোধনের পরে এই উদ্যোগ নেওয়া হবে।
২২জানুয়ারি থেকে এই ট্রেনগুলি চালু হবে। মানে রামমন্দির উদ্বোধনের পর থেকেই অযোধ্য়াগামী স্পেশাল ট্রেন এক এক করে ছাড়া হবে। গোটা দেশ কার্যত এই দিনটার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই ট্রেন আসবে। ২২টি কোচের এই ট্রেন। সব মিলিয়ে ৬৬টি ট্রেন আসবে। যদি যাত্রী সংখ্য়া বেশি থাকে তবে এই ট্রেনগুলির সঙ্গে আরও কোচ যুক্ত করা হবে। সব মিলিয়ে অযোধ্য়ায় একেবারে সাজো সাজো রব। বহু বছর ধরে যেন রামচন্দ্রের ভক্তরা এই দিনটার দিকেই নজর রাখছিলেন।
এদিকে নয়া সার্কুলারে বলা হয়েছে, আইআরসিটিসির মাধ্যমে এই টিকিট বুকিং করা হবে। তবে প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সিস্টেমে এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য় দেওয়া হবে না।
দিল্লির চারটি স্টেশন থেকে এই ট্রেন ছাড়বে। নিউ দিল্লি, পুরাতন দিল্লি, নিজামুদ্দিন, ও আনন্দ বিহার স্টেশন থেকে এই ট্রেন ছাড়বে। এছাড়াও আগরতলা, তিনসুকিয়া, বার্মার, কাটরা, জম্মু, নাসিক, দেরহাদুন, ভদ্রক, খুরদা রোড, কোট্টায়াম, সেকেন্দ্রাবাদ, হায়দরাবাদ,কাজিপেট স্টেশন থেকে এই স্পেশাল ট্রেন ছাড়বে। সেই সঙ্গেই তামিলনাড়ুর ৯টি স্টেশন থেকে এই অযোধ্যাগামী ট্রেন ছাড়বে।
মহারাষ্ট্রের যে স্টেশন থেকে এই ট্রেন ছাড়বে সেগুলি হল নাগপুর, পুনে, মুম্বই, ওয়ার্ধা, জালনা, ও নাসিক।
রামমন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে বহু মানুষের আবেগ। অনেকেই অযোধ্যায় যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। কীভাবে রামমন্দির দর্শন করা যায় তা নিয়ে নানা চর্চা চলছে পাড়ায়। মনে করা হচ্ছে ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়ার পরে দলে দলে ভক্তরা আসতে শুরু করবেন রামমন্দিরে।
এদিকে রামমন্দিরকে ঘিরে বাংলায় অবশ্য় অন্য়রকম হাওয়া। অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন তৃণমূলের সংহতি মিছিলের ডাক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২২ জানুয়ারি কালীঘাট মন্দির থেকে শুরু করে বিভিন্ন মন্দির-মসজিদ-গুরুদ্বার ঘুরে হবে সর্বধর্ম সমন্বয় মিছিল জানালেন মমতা। একই সঙ্গে ব্লকে ব্লকেও ওদিন মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে।
মমতা জানিয়েছেন, এটা কোনও প্রতিবাদ কর্মসূচি নয়। তাঁর মতে মন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা সাধুসন্তদের কাজ। তাঁর কথায়, ‘আমি সাধুসন্তদের সম্মান করি। তাঁরা কী বলছেন আমি শুনছি।’