আমাদের নাকের পিছনে ও গলার উপরের দিকে একরকম মাংসল অংশ থাকে। একেই বলা হয় অ্যাডনয়েড। অ্যাডনয়েডাইটিস এমন একটি সমস্যা যাতে ওই অংশে জ্বালা করে। সাধারণত শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। তবে বড়দেরও মাঝে মাঝে এমন সমস্যা হতে পারে। এর ফলে নাক ডাকা, মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া, বারবার কানে সংক্রমণ, কানে শোনার ক্ষমতা কমে যাওয়া, ঠোঁট ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। অ্যাডেনোডাইটিস থেকে অ্যাডনয়েড কলায় সংক্রমণ, অ্যালার্জি ও জ্বালাভাব বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: বড় বিপদ ঘনিয়ে আসছে আগামী দিনে! আবহাওয়া দিবসে নয়া সতর্কতা বিজ্ঞানীদের
আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়াতেই কাটছে সারাদিন, কীভাবে মিলবে রেহাই? রইল সেরা উপায়ের হদিশ
কোন কোন উপসর্গ দেখে এই রোগটির জানান পাওয়া যায়? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? অ্যাস্টার সিএমআই হাসপাতালের ইএনটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিটি ম্যাথিউ হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, ‘অ্যাডনয়েডাইটিস সাধারণত অ্যাডনয়েড সংক্রমণের কারণে হয়। এটি শিশুদের দুই বছর বয়স থেকে দেখা দিতে শুরু করে। মোটামুটি আট বছর পর্যন্ত এই অঙ্গটি বাড়তে থাকে। দীর্ঘ সময় এটি ফোলা অবস্থায় থাকলে বড়সড় সমস্যাও দেখা দিতে থাকে।
আরও পড়ুন: ৫ অভ্যাসেই তীব্র কামশক্তি, রোজকার রুটিনে শুধু এই বদল চাই
আরও পড়ুন: ‘সুখী’ মানুষ কমছে ভারতে, পিছনে ৫টি বড় কারণ! আপনিও কি এই সমস্যায় ভুগছেন
কী কী কারণে শিশুদের অ্যাডনয়েডাইটিস হয়?
শিশুদের প্রতিপালন করার সময় কিছু অভ্যাস প্রায় সবার ক্ষেত্রেই দেখা যায়। এর ফলেই অ্যাডনয়েডাইটিসের সমস্যা দেখা যায়। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, কী কী কারণে এই সমস্যা হয়।
- বোতলে দুধ খাওয়ানো: ছোট্ট খুদেকে বোতলে দুধ খাওয়ানো খুব সাধারণ ব্যাপার। প্রায় সবাই এটি করে থাকেন। বোতলের কোনও সমস্যা থাকলে অ্যাডনয়েডাইটিস হতে পারে।
- শুইয়ে দুধ খাওয়ানো: দুধ খাওয়াতে খাওয়াতে শিশু পুরো শুইয়ে দেওয়া উচিত নয়। মাথা কিছুটা উপরের দিকে তুলে রাখা জরুরি। পুরো শুইয়ে দুধ খাওয়ানোর ফলে অ্যাডনয়েডাইটিসের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
- নাক বা কানের কাছে সংক্রমণ থাকা: নাক বা কানের কাছে কোনও সংক্রমণ রয়েছে? এর থেকে শিশুর অ্যাডনয়েডাইটিস হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup