মোমো প্রেমীদের একটা আলাদা ব্যাপার আছে। সামনে এই সুখাদ্যটা দেখলে তাঁরা আর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। আর মোমো জিনিসটা খাওয়াও বেশ সহজ। খুব বেশি কাটা-মাখামাখির ব্যাপার নেই। তোলো, আর খাও।
কিন্তু এই মোমো খাওয়ার সময়েই একটু সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিত্সকরা। সম্প্রতি মোমোতে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। তার পরেই মোমোপ্রেমীদের সতর্ক করলেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (AIIMS), নয়াদিল্লির বিশেষজ্ঞরা।
কী বলছেন চিকিত্সকরা?
মোমো বেশ জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড। মোমোর গা-টা যদি লক্ষ্য করেন, দেখবেন বেশ পিচ্ছিল। AIIMS-এর ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটাই ভয়ের বিষয়। সঠিকভাবে কামড় দিতে হবে। একবারে মুখে পুরে চিবোতে না পারলেই বিপদ। গিলে গেলে তা গলায় আটকে যেতে পারে। তার ফল যে মারাত্মক হতে পারে, তা বলাই বাহুল্য।
কোন ঘটনা থেকে এই উপলব্ধি?
AIIMS জানিয়েছে সম্প্রতি বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তি একটি দোকানে বসে খাচ্ছিলেন। সেই সময়েই তিনি হঠাৎ উল্টে পড়ে যান।
ময়নাতদন্তে সিটি স্ক্যান করা হয়। তাতে দেখা যায়, ওই ব্যক্তির শ্বাসনালীতে উপরের দিকে বা উইন্ডপাইপের মুখে একটি মোমো আটকে রয়েছে। তারপরেই চিকিত্সকরা একমত হন যে, মোমোতেই শ্বাসরোধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শরীরে অ্যালকোহলেরও অস্তিত্ব মেলে।
রিপোর্টটি জুন ২০২২-এর ফরেনসিক ইমেজিং জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
গলবিল এবং শ্বাসনালী বিভাজনের মধ্যবর্তী কোনও স্থানে শ্বাসনালীতে বাধা সৃষ্টি হলে দম বন্ধ হয়ে যায়। যদি কেউ খুব বড় কোনও খাবার খান তাহলে সেটা আটকে যায়। তখন অস্বস্তি এবং শ্বাসকষ্ট হয়। শ্বাসযন্ত্রে বাধা সৃষ্টি করে।
যখনই এই ধরনের ঘটনা ঘটবে, প্রত্যক্ষদর্শীদের অবিলম্বে Heimlich manoeuvre- একটি প্রাথমিক চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। সেটা কীরকম?
দেখুন কারও গলায় হঠাত্ খাবার আটকে গেলে কী করা উচিত্:
তাই আগামিদিনে মোমো খাওয়ার সময়ে একটু সাবধান, ভালো করে চিবিয়ে খান। আপনার মোমোপ্রেমী বন্ধুর সঙ্গে শেয়ার করুন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার এই প্রতিবেদন।