আমেরিকার একদল গবেষক একটি নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে যা আপনাকে সাহায্য করবে আপনি করোনা ভাইরাস বা কোভিড১৯ রোগটি থেকে কতটা সুরক্ষিত আছেন তা জানতে। অর্থাৎ, আপনার এই রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কতটা সেটা জানাবে এই পরীক্ষা। তবে মোটেই কষ্টদায়ক নয় এই পরীক্ষাটি। অথচ এটির সাহায্যে আপনি আপনি বুঝতে পারবেন আপনাকে কতটা সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এই রোগ থেকে বাঁচতে গেলে। একই সঙ্গে ব্যবহারকারী বুঝতে পারবেন তাঁকে আর বুস্টার ডোজ ইত্যাদি নিতে হবে কিনা নিজের সুরক্ষার জন্য!
কীভাবে সাহায্য করবে এই পরীক্ষাটি?
সেল রিপোর্টস মেথডস পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী এই পরীক্ষাটি ব্যবহারকারীর শরীরে অ্যান্টিবডি নিউট্রিলাইজ করার ক্ষমতা কতটা সেটা বুঝতে সাহায্য করবে। এই অ্যান্টিবডিগুলো ভাইরাসের হাত থেকে কোষকে বাঁচাতে সাহায্য করে। গবেষণা অনুযায়ী করোনা এই অ্যান্টিবডিগুলো করোনা ভাইরাসকে টার্গেট করতে সক্ষম হয়েছিল রক্ত পরীক্ষায়। হজুন লি, কোচ ইনস্টিটিউট ফর ইন্টিগ্রেটিভ ক্যান্সার রিসার্চের গবেষক জানান সাধারণ নাগরিকরা এই পরীক্ষার সাহায্যে বুঝতে পারবেন এই রোগটি থেকে তাঁরা কতটা সুরক্ষিত। তবে তিনি মনে করেন যে যাঁরা কেমোথেরাপি নিচ্ছে বা রিউমাটোলজিক ডিসঅর্ডার বা অটোইমিউন রোগের জন্য ওষুধ খান তাঁদের জীবনে এই রোগ দারুন বদল আনতে সক্ষম। একই সঙ্গে যাঁরা বয়স্ক, যাঁদের এখন আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক করে কাজ করে না তাঁদের জন্যেও এই পরীক্ষাটি দারুন উপযোগী। এমনকী এই পরীক্ষাটি থেকেই বোঝা যাবে আপনার বুস্টার ডোজ লাগবে কিনা। অর্থাৎ আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি বেশি থাকে তাহলে আপনাকে আর বুস্টার ডোজ নিতে হবে না।
কীভাবে এই পরীক্ষাটি ডিজাইন করা হয়েছে?
এই পরীক্ষাতে ভাইরাল স্পাইক প্রোটিন যা শরীরে ভাইরাস ঢুকতে এবং ইনফেকশন বাঁধাতে সাহায্য করে তাকে চিহ্নিত করে। এই পরীক্ষাটির সাহায্যে আপনি বুঝতে পারবেন বর্তমানে করোনার যতগুলো ভ্যারিয়েন্ট আছে কিংবা ভবিষ্যতে যেগুলো আসবে তার থেকে আপনি সুরক্ষিত কিনা। হলেও কতটা। গবেষকরা এই গবেষণার উপর একটি পেটেন্ট ফাইল করেছেন। এবং জন্য গিয়েছে খুব শীঘ্রই হয়তো একটি পরীক্ষাগার এই টেস্ট কিট বানাতে সক্ষম হবে। বর্তমানে এই পরীক্ষাটি আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিসট্রেশনে গেছে অনুমোদনের জন্য।