দই খুবই পুষ্টিকর একটি পদ। আদি যুগ থেকেই ভারতে দই খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। ভারতীয় আয়ুর্বেদেও দইকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। খাবার খাওয়ার পরে বা খাবারের সঙ্গে দই খেলে বহু ধরনের উপকার পাওয়া যায় বলে দাবি করা হয়েছে এই শাস্ত্রে।
দইয়ে প্রচুর উপকারী ব্যাকটিরিয়া রয়েছে। এগুলি মানুষের পেটের নানা উপকার করে। হজমে সাহায্য করে। ক্ষতিকারক জীবাণুর সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে। তাছাড়া দইয়ে প্রচুর ফসফরাস রয়েছে। এটিও শরীরের নানা কাজে লাগে।
অনেকেই lactose intolerant হন। অর্থাৎ দুগ্ধজাত পদ খেলে তাঁদের সমস্যা হয়। তাঁদের অনেকেই সহজে দই খেতে পারেন। কোনও সমস্যা হয় না। ভিটামিন এ, বি৬, বি১২, ল্যাকটিক অ্যাসিড-এর জোগান দিতে পারে দই। ফলে নিয়মিত দই খেলে শরীরের নানা লাভ হয়। তাছাড়া দই নিয়মিত খেলে ওজনও কমে।
কিন্তু মনে রাখা দরকার দই খাওয়ার কয়েকটি নিয়ম আছে। সেই নিয়মগুলি মেনে না চললে দই সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ দীক্ষা ভাবসার সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসকে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, দই খাওয়ার সময়ে কোন কোন নিয়ম মেনে চলা উচিত।
দেখে নেওয়া যাক সেই নিয়মগুলি।
- দই কখনও গরম করা উচিত নয়। তাহে দইয়ের অধিকাংশ গুণই নষ্ট হয়ে যায়। শুধুমাত্র অ্যাসিড থেকে যায়। তাতে অম্বলের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- যাঁদের শরীরে প্রচুর মেদ রয়েছে, তাঁরা দই খাওয়ার সময়ে সচেতন থাকবেন। দরকারে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে দই খাবেন। যতটা পারবেন এড়িয়ে যাবেন দই।
- রাতে দই খাবেন না। তাতেও বাড়তে পারে অ্যাসিডিটির সমস্যা। এছাড়া মেদবৃদ্ধির মতো সমস্যাও হতে পারে এর ফলে।
- দই রোজ না খাওয়াই ভালো। ভারী খাবারের পরে দই খেতে পারেন। কিন্তু হাল্কা খাবার বা রোজকার খাবারের পরে দই খেলে লাভ কিছু হয় না।