১। শরীর ভালো ঠেকছে না বলে ডাক্তারের কাছে গেলেন শ্যামবাবু। চিকিৎসক কতক্ষণ পরীক্ষা করে প্রেসক্রিপশন দিলেন, ‘এই লম্বা বড়িটা সকালবেলা দুই গ্লাস জলের সঙ্গে খাবেন। ক্যাপসুলটা খাবেন দুপুরে, দুই গ্লাস জলের সঙ্গে। আর এই সিরাপটা দিলাম, রাতে খেয়ে তারপর দুই গ্লাস জল খাবেন।’
ওষুধের বহর দেখে শ্যামবাবু তো ঘাবড়ে গেলেন। বললেন, ‘এত ওষুধ! আমার হয়েছে কী, ডাক্তার?’
ডাক্তার বললেন, ‘আপনি ইদানীং জল কম খাচ্ছেন।’
(আরও পড়ুন: ছুটির দিনে সকাল সকাল পড়ুন দিনের সেরা ৫ জোকস! জন্মাষ্টমীর দিনটি হোক মজাদার)
২। মাইকেল কথায় কথায় রেগে যায়। হাসপাতালে তার রাগের চিকিৎসা চলছে। একদিন মাইকেলের সঙ্গে দেখা করতে গেল তার বন্ধু জনি।
জনি: কেমন আছো, মাইকেল?
মাইকেল: ভালো। এখন এখান থেকে দূর হ হতভাগা!
নাহ, মাইকেলের অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। ভেবে মন খারাপ করে বাড়ি ফিরল জনি। এক মাস পর আবার গেল তাকে দেখতে।
জনি: এখন তোমার শরীরটা কেমন মাইকেল?
মাইকেল: ভালো। এখন এখান থেকে দূর হ হতভাগা।
আবার মন খারাপ করে ফিরল জনি। এক মাস পর আবার গেল মাইকেলকে দেখতে। ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘এখন কেমন বোধ করছ মাইকেল?’
মাইকেল জবাব দিল, ‘ভালো।’
উচ্ছ্বসিত হয়ে জনি গেল ডাক্তারের কাছে। বলল, ‘বাহ, আপনারা তো ওকে সুস্থ করে ফেলেছেন! কীভাবে করলেন?’
ডাক্তার: এখন এখান থেকে দূর হ হতভাগা!
(আরও পড়ুন: আজ শিক্ষক দিবস স্পেশাল! এই ৫টি জোকস পড়লে হাসতে হাসতে খিল ধরবে পেটে)
৩। ট্যাক্সিতে উঠেছে তিন মাতাল।
এক মাতাল বলল, এই হাওড়া স্টেশন চলো।
ট্যাক্সির চালক বুঝতে পারছিল, লোকগুলো মাতাল। তার মাথায় একটা দুষ্টু বুদ্ধি খেলে গেল। চালক কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থেকে বলল, চলে এসেছি স্যর, নামুন। আর ভাড়া দিন।
প্রথম মাতাল ভাড়া মিটিয়ে নেমে গেল।
দ্বিতীয়জনও চুপচাপ নেমে গেল।
তৃতীয়জন গাড়ি থেকে না নেমে রাগী চোখে তাকিয়ে থাকল চালকের দিকে। চালক তো ভয়ে কাবু! মাতাল ব্যাটা জারিজুরি ধরে ফেলল নাকি!
হঠাৎ তৃতীয় মাতাল চালকের গালে ঠাস করে একটা চড় বসিয়ে দিল। বলল, এই ব্যাটা, এত জোরে কেউ গাড়ি চালায়? ধীরে চালাতে পারিস না? আর একটু হলেই তো আমরা মরতে বসেছিলাম!
(আরও পড়ুন: আজ আকাশের মুখ ভার! তবে আপনার মুখ থাকুক হাসিতে উজ্জ্বল, পড়ুন দিনের সেরা ৫ জোকস)
৪। শিক্ষক: ১৯১৪ সালে কী ঘটেছে কে বলতে পারবে?
ছাত্র: গতরাতের ঘটনাই মনে নাই স্যার এত আগের কথা কীভাবে বলব?
(আরও পড়ুন: আজ আকাশের মুখ ভার! তবে আপনার মুখ থাকুক হাসিতে উজ্জ্বল, পড়ুন দিনের সেরা ৫ জোকস)
৫। ঘড়ি চুরির কোনও জোরালো প্রমাণ না থাকায় বিচারক আসামিকে বেকসুর খালাস দিলেন।
ছাড়া পেয়েই আসামি বিচারকের কাছে জানতে চাইল, ‘হুজুর, এবার ঘড়িটা ব্যবহার করতে পারব তো?’