বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Travel Tips: শীতের ছুটিতে বেড়াতে যাবেন? পাহাড়ের কোন কোন গ্রামে কাটিয়ে আসতে পারেন কয়েক দিন
বছরের শেষে হাতে কয়েকটা দিন ছুটি এসেই যায়। এই সময় অনেকেই চান কোথাও ঘুরে আসতে। কিন্তু কোথায় যাবেন? অন্য শহরগুলোয় এই সময়ে এমনিতেই পর্যটকদের ভিড়। তাই শান্ত পরিবেশে সময় কাটাতে চাইলে সে সব জায়গায় যাওয়া যাবে না। আবার নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চাইলে, যেতে হবে পাহাড়ের গ্রামে। সেখানে প্রচণ্ড ঠান্ডা!
কিন্তু এ সবের মধ্যেও হিমালয়ের বেশ কয়েকটি গ্রামে শীতের ছুটি কাটিয়ে আসতে পারেন। খুব বেশি ঠান্ডার মধ্যে পড়তে হবে না। আবার পর্যটকের সংখ্যাও খুব বেশি হবে না এই জায়গাগুলোয়। রইল এমনই কয়েকটি জায়গার সন্ধান।
- বোরং: সিকিমের ছোট্ট গ্রাম। গ্যাংটক থেকে সহজেই গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারেন। সঙ্গে ভালো করে গরম জামা নেবেন। তবে শীতে খুব কষ্ট পেতে হবে না। কারণ এই গ্রামে রয়েছে বেশ কয়েকটি হোমস্টে। সেখানে আরামেই থাকতে পারবেন কয়েক দিন। চাইলে হেঁটে ঘুরে আসতে পারেন মিনাম হিলস থেকেও।
- জিরো: অরুণাচল প্রদেশের ছোট্ট গ্রাম। পর্যটকদের খুব প্রিয়। যদিও শীতে খুব কম মানুষই বেড়াতে যান। ফলে একেবারে ফাঁকা। কিন্তু তা বলে ভাববেন না, থাকার জায়গার অভাব আছে। কষ্ট করে পৌঁছে যেতে পারলে স্থানীয় মানুষের বাড়িতে বা হোটেলেই আরামেই কাটবে কয়েক দিন।

- মুক্তেশ্বর: উত্তরাখণ্ডের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। বছরভর পর্যটকদের ভিড়। কিন্তু শীতে একেবারে ফাঁকা। এখান থেকে ১৮০ ডিগ্রিতে হিমালয়ের শৃঙ্গগুলি স্পষ্ট দেখা যায়। চারপাশ জঙ্গলে ঢাকা। যদিও থাকার জায়গা পেতে অসুবিধা হবে না।
- লাচুং: সিকিমের আরও এক জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। সারা বছর নানা রঙের ফুল ফোটে। তবে শীতকালে ফুলের সংখ্যা কমে যায়। কমে যায় পর্যটকদের সংখ্যাও। কিন্তু শীতে লাচুংয়ের অন্য আবেদন। স্থানীয় কারও বাড়িতে ক’টা দিন কাটাতে খারাপ লাগবে না কোনও পর্বতপ্রেমীর।
- তীর্থন ভ্যালি: হিমাচল প্রদেশের ছোট্ট গ্রাম। খুব বেশি পর্যটকরা যান না এখানে। শীতে তো একেবারেই নয়। ফলে গোটা শীতই এই গ্রাম বিলকুল খালি। তবে থাকার জায়গার অভাব নেই। হোমস্টে বা ছোটখাটো হোটেল— সবই রয়েছে। ক’টা দিন কাটিয়ে আসতে পারেন এই গ্রামে।